সুপ্রভাত ডেস্ক »
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যানারে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে বঙ্গভবনের সামনের সড়কে একাধিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এক পর্যায়ে তারা বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নারী সদস্য মাইকে ঘোষণা দেন। এরপরে ৩০০-৪০০ জন বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ধাক্কাধাক্কি করেন। ৮টা ২২ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টাও করেন বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা।
তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের বঙ্গভবনের ভেতরে পাঠিয়ে দেন। পরে বিক্ষোভকারী ব্যক্তিদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান উপস্থিত সেনাসদস্যরা। তারা আন্দোলনকারীদের মাইকিং করে সরে যেতে বলেন। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাইকিং করতে শুরু করেন। তারা আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলেন। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে সন্ধ্যার দিকে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
তাদের কর্মসূচি থেকে বলা হয়, “বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না সে রাষ্ট্রপতি পদে থাকুক। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে।”
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ(ডিএমপি)।
বঙ্গভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর এপিসি ও জলকামান।
সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গভবনের সামনে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও বক্তব্য দিচ্ছেন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা বিক্ষুব্ধ জনতা। পাশেই ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে যায় অর্ধশত জনতাকে।
বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছে সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা।