ভাস্কর্য বিরোধিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদ করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পদক জনাব মনজুরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘অত্যন্ত উদ্বেগ ও উংকণ্ঠার সাথে আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিগত কয়েকদিন যাবত একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিভ্রান্তিকর বক্তৃতা ও বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশ্যে লিপ্ত রয়েছে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ‘পূর্ব পাকিস্তানকে’ “বাংলাদেশ” নামকরণের দিবসে ৫ ডিসেম্বর ২০২০ শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টায় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়ে ভাস্কর্যটির অংশবিশেষ ভেঙে ফেলেছে। মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এ ঔদ্ধত্য ও অপতৎপরতা জাতির জনকের নেতৃত্বে মুক্ত এ স্বাধীন বাংলাদেশে সহ্য করা হবে না।’
বিবৃতিতে আরো বরা হয়, ‘ভাস্কর্য মানুষের নান্দনিকতা বোধ প্রকাশের এক চিরন্তন মাধ্যম যা মানব সভ্যতার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষের প্রতীক স্বরূপ। তাই ভাস্কর্যকে মুর্তির সাথে এক করে বক্তব্য প্রদান বাংলাদেশের উদার, অসাম্প্রদায়িক ও গণতন্ত্রমনা আপামর ধর্মপ্রাণ জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়ার উদ্দেশ্যে এক শ্রেণীর ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হীন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্বাস করে, জাতির জনকের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ক্ষতি সাধনকারী ও ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের সাথে এ দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।
জাতির জনকের ভাস্কর্য ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের প্রতিহত করতে চ.বি. শিক্ষক সমিতি বদ্ধপরিকর এবং এসকল দুষ্কৃতকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানের জন্য সমিতি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছে।’
এ মুহূর্তের সংবাদ