মোছলেম উদ্দিন আহমদ
বর্তমান বিশ্বে যে কয়জন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও প্রশংসিত তাদের অন্যতম হচ্ছেন বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার বড় পরিচয় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। একদিকে তিনি যেমন মমতাময়ী মা অন্যদিকে একজন দক্ষ প্রশাসক। তিনি সংস্কৃতি অনুরাগী একজন সরকার প্রধান। বাংলাদেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখছেন তিনি তার সফল নির্মাতা। সাধারণ মানুষের সুখ-দুুঃখের সাথে পরিচিত একজন মমতাময়ী, মানবতাবাদী এবং দেশপ্রেমিক সরকারপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশেরও রূপকার।
যে দেশকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মার্কিনিরা তলাবিহীন ঝুড়ি বলছিল, সেই দেশকে সমৃদ্ধির অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। খাদ্যঘাটতির একটি দেশ, ভূমিধস, সাইক্লোন ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশ বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের কাছে তাক লাগানো একটি দেশ। ইউরোপে যেখানে মানবতার স্বোচ্চার কণ্ঠ সবসময়, সারা দুনিয়ার লোক লক্ষ করেছে সেই দেশে অন্যদেশ থেকে আশ্রয় নিতে আসা লোকগুলোকে আশ্রয় দেয়নি। মহিলাসহ হাজার উদ্বাস্তুদের সাগরে ডুবিয়ে হত্যা করেছে। অবাধ তথ্য প্রবাহের কারণে সারা দুনিয়ার মানুষ ইউরোপের এই ধরনের দ্বিমুখী কাজ প্রত্যক্ষ করেছে। আর সেই জায়গায় মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাদেরকে আশ্রয় দিয়ে দুনিয়ায় একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। আমার দেশের মানুষ এক বেলা না খেয়েও তাদের খাওয়াবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবন চরিত অনন্য তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দেশে-বিদেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু এই দেশকে নিয়ে যে চিন্তা ভাবনা করতেন, সেই স্বপ্নগুলো প্রত্যেকটি বাস্তবায়ন করে আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর কর্মী আমাদের কাছে এবং জনগণের কাছে তিনি সব সময় শ্রদ্ধার উঁচু জায়গায় অবস্থান করবে। উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ঘাটতি দেশ ছিল, লোডশেডিং যেখানে নিত্য দিনের ব্যাপার ছিল, পূর্বেকার বিএনপি সরকারের আমলে যেখানে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল, তারা বিদ্যুৎ না দিয়ে সারা দেশে বিদ্যুৎ এর খুঁটি বিলি করেছে। সেই বাংলাদেশ আজ বিদ্যুৎ-এর ৮০% স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিদ্যুতের জন্য আর এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না, ফেরি করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। এই দেশকে বিশ্বে জামায়াত-বিএনপি সরকার ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই জাতি দূর্নীতির দূর্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছে। দূর্নীতি সম্পূর্ণভাবে নির্মূল হয়েছে বলা যাবে না, কারণ বিগত স্বৈরশাসকগুলোর কারণে এর শিকড় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে। বর্তমান সরকার জাতিকে এই সংকট থেকে উদ্ধারের জন্য অবিরাম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি দীর্ঘদিনের অমিমাংসিত অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন। ভারতের সাথে সংকট সমাধান করে করিডোর নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে বিজয়ী হয়ে দেশের আয়তনের চেয়েও বেশি সামুদ্রিক এলাকাকে বাংলাদেশের সাথে যুক্ত করেছে। এ সাফল্যের কারণে সমুদ্রের গভীরে যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে সেটি আহরণ করা গেলে আমার বিশ্বাস এই দেশের মানুষকে আর প্রবাসে অবস্থান করতে হবে না। দেশেই ব্যাপক আকারে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই দেশে খাদ্য সমস্যা নিত্যদিনের সমস্যা ছিল, খাদ্যের জন্য বিদেশ নির্ভর ছিলাম আমরা। আজকে আর সেই অবস্থা নেই। গ্রামে প্রতি বছরেই ফসলি জমিতে বাড়ি-ঘর নির্মিত হচ্ছে, কারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। জমির পরিমাণ কমলেও কৃষিবিদদের প্রচেষ্টা এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ দেশের ঘাটতি মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। এই সব কিছুর দাবিদার জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই দেশে আইনশৃঙ্খলা ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কোন সরকারের আমলে এত ব্যাপক উন্নতি হয়নি। প্রাক ইসলামিক যুগেও হত্যাকা- হয়েছে, বর্তমানে শতভাগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে আমি দাবি করব না। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে যে উন্নতি হয়েছে তা আগেকার কোন সরকারের আমলে হয়নি। আজ থেকে ১০ বছর দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রতিরাতে ৫-১০টা ডাকাতি হত, সাতকানিয়ায় প্রতি সপ্তাহে আট দশটি ডাকাতি হত, পটিয়-বোয়ালখালীতেও প্রতি মাসে ৫-১০টি ডাকাতির ঘটনা ঘটত, আজ সেই জায়গায় এই ডাকাতির ঘটনা নির্মূল হয়ে গেছে, কোথাও কোন ডাকাতির ঘটনা হচ্ছে বলে শোনা যায়না। স্বৈরশাসকদের আমলে হাইজ্যাক, ছিনতাই নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে এই জায়গায়ও পরিবর্তন এসেছে। আমাদের দেশের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে জামায়াত-বিএনপি সরকারের আমলে সরকারের
সহযোগিতায় ৫০০ জায়গায় একই দিন বোমাবাজি করেছে। সরকারের কারণে
একটি ঘটনার
হোতাদেরও গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে পারেনি। বর্তমান সরকারের আমলে এই ধরনের কোন ঘটনা জনগণ প্রত্যক্ষ করেনি। সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি আরো বেশি উন্নতি হবে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এ জায়গাগুলো উপেক্ষিত ছিল।
জামায়াত-বিএনপি সরকার অন্যদেশের দুস্কৃতিকারীদের এদেশের মাটি ব্যবহার করতে দিয়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে লালন করেছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।
পঁচাত্তরের সেই ঘোর অমানিশা কাটিয়ে স্বজনহারা মৃত্যুর ঝুকিকে পরোয়া না করে বাংলার নিপীড়িত মানুষকে আপন হৃদয়ে ঠাঁই দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় নিয়ে ১৯৮০ সালের ১৭ মে এক বৃষ্টি¯œাত দিনে স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসেছেন। যেন নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পিতা-মাতা-স্বজন প্রতিভূ রক্ত¯œাত দেশটির মৃতদেহ।
‘সহসা সেদিন/বৃষ্টিতে বৃষ্টিতে/ভিজে ভিজে হেঁটেছিলো সারাদেশ/অজ¯্র চোখে মিশে গিয়েছিল এই চোখ/অশ্রু ফোঁটারা লুকিয়ে ঝরেছে মনে/বৃষ্টি ও অশ্রুতে একাকার চারিদিক/হৃদয়ে কান্না/মুখে-মর্মর বেদনার মহাদেশ/প্রতিরোধে ক্রোধে ঘৃণার বারুদে/অতীত ফিরেছে আগামীতে মিশে যেতে/নদীর ¯্রােতে জেগে উঠেছিল বাতিঘর/আশার আলোর রেখা…’
সেই থেকে ‘দূর্গম গিরি, কান্তার-মরু-পারাবার হলো শুরু। কত দুস্তর, কত কণ্টকাকীর্ণ ছিলো এই পথ-অসংখ্যবার তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে । সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় ও দেশবাসীর দোয়ায় প্রতিবারই তিনি বিপদমুক্ত হয়েছেন। বাধার পাহাড় অতিক্রম করে সম্মুখবর্তী হয়েছেন-সেই কঠিন যাত্রায় জনগণকে সাথে নিয়ে আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আলোকোজ্জ্বল মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে। অনন্ত বিস্ময় হয়ে গোটাবিশ্বকে আলোকিত করেছেন। মানবতার জননী হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবার হৃদয় করেছেন জয়। তিনি আমাদের অযুত সাহস, অনন্ত বিস্ময়-উন্নয়নে অর্জনে তিনি আজ গোটা বিশ্বের রোল মডেল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্ত একের পর এক সম্মাননা, ডক্টরেট, পদক হাতে তুলে নিয়ে তা তিনি প্রাণপ্রিয় দেশবাসীকে উৎসর্গ করেছেন।
শেখ হাসিনার কারণে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় বাংলাদেশের মর্যাদা ও সম্মান একটি বিশেষ জায়গায় পৌঁছেছে। ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত আন্তর্জাতিক পদকের সংখ্যা ৩৭টিতে উন্নীত হলো।
চলতি মেয়াদসহ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত।
শান্তি, শিক্ষা, সম্প্রীতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। যা সম্ভব হয়েছে তার দূরদর্শিতা ও দেশের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার কারণে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নতির পাশাপাশি শেখ হাসিনার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো অর্জন। তিনি আন্তর্জাতিক অনেক সম্মাননা পদক পেয়েছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ৪১টি পুরস্কার, পদক, ডক্টরেট ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে জাতিসংঘের বেশকটি পুরস্কার রয়েছে। এ ছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার প্রাপ্তি জাতিকে গর্বিত করে। তিনি যে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেত্রী তার প্রমাণ তিনি রেখেছেন সেই ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। তার পরিকল্পনা এবং দৃঢ় নেতৃত্বের স্বীকৃতি পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পরিম-ল থেকে। ১৯৯৭ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর পাওয়া অর্জনগুলোর একটি খ-চিত্র।
তিনি সারাজীবনে চরম হুমকির মধ্যে জীবন অতিবাহিত করেছেন। ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালে প্রকাশ্যে জনসভায় তাকে হত্যা করার খালেদা জিয়া তার ছেলেকে দিয়ে গ্রেনেড হামলা করেছে। এই নির্মম বর্বরতা দেশের ভাবমূর্তিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং সমস্ত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সেই দিন মারা পড়ত। সেই জননেত্রী আইভি রহমান প্রায় ২৪ জন নেতা-কর্মী জীবন দান করেছেন। এ দেশে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার হিংসার রাজনীতি চালু করেছে। তারা আন্দোলনের নাম করে আগুন সস্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। খালেদা দিয়া এবং তার সন্তান কোন সময় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল না, সব সময় ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশ গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা সমবেদনা প্রকাশ করছেন এবং দেখতে গেছেন। অথচ সরকার খালেদা জিয়া ন্যূনতম লোকদেখানোর জন্য হলেও আহত শেখ হাসিনাকে দেখতে যাননি। যেখানে গ্রেনেড হামলার একজন লোককেও গ্রেফতার না করে বরঞ্চ জঙ্গিদেরকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। দেশবাসী এবং আমরা শেখ হাসিনার কর্মীরা লক্ষ করেছি বেগম খালেদা সংসদে সমবেদনা জ্ঞাপন করেননি বরঞ্চ রহস্য করে বলেছেন শেখ হাসিনা ব্যানেটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গেছেন। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে বেগম খালেদা দিয়াকে ডেকেছেন চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন না বলেই এই দাওয়াতে তিনি আসেননি। খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তার লাশ দেখতে গেলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গেইটে আটকে দিয়ে লাশটা পর্যন্ত দেখতে দেননি।
আজকে দেশের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় ব্যাপক সফল। পৃথিবীর যে যায়গায় অশান্তি সেখানে শান্তি মিশনে গিয়ে প্রশংসার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। আর সেই স্বৈরশাসকদের আমলে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিছু বিপদগামী সদস্যের কারণে বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছে তার জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছেন।
আজকে প্রত্যেকটি বাহিনী শৃঙ্খলার সাথে কাজ করছে। প্রত্যেকটা ভূমিকায় সেনা বাহিনী প্রশংসার দাবি রাখতে। আজকে পুলিশ বাহিনী দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত। পুলিশ বাহিনীর দুয়েকটি ভুলত্রুটি হলেও তারা প্রশংসীয় কাজ করে চলেছেন। আজ সকল বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা সারাবিশ্বে প্রশংসিত। এর একমাত্র কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কঠোর অবস্থান।
একবার যদি চেষ্টা করি বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে পারি। তিনি টেলিভিশন দেখা থেকে উঠে যান তিনি শুধুমাত্র রিমোট টিপে টেলিভিশন বন্ধ করেন না, সেদিন তিনি বলেছেন টেলিভিশন বন্ধ করতে হলে বিদ্যুৎও বন্ধ করতে হয়। কয়েকদিন আগে তিনি জানিয়েছেন তিনি গাড়ি চালকদের ড্রাইভার বলেন না ড্রাইভার সাহেব বলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করেন, কোরআন তেলোয়াত করেন। নিজের চা নিজেই বানিয়ে খান। কাজের লোকদেরকে এই ছোট কাজটি করার জন্য কষ্ট দেন না।
অনেক অনন্য গুণাবলীর অধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা। একবার একটি দেশের বরেণ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা সঙ্গীত পরিবেশন করছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। অন্যান্য দর্শকদের ন্যায় শিল্পীকে তিনিও ফোন করলেন, চ্যানেলের কর্মকর্তা ও শিল্পী নিজেই আবেগআপ্লুত হয়ে যান। তারা কল্পনাও করেননি দেশের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ করে ফোন করবেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনাকে একবার সাংবাদিকরা বলছিলেন তিনি আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি জনপ্রিয়। জবাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে জনপ্রিয় বলে আমি জনপ্রিয় হয়েছি। তিনি আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনুপ্রেরণার উৎস। প্রায় নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর রাখেন এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন। সারা বিশ্বে এই ধরনের একজন রাষ্ট্র প্রধান পাওয়া যাবে না। একজন অনন্য গুণাবলির অধিকারী, আমাদের গর্বের ধন, দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের তালিকায় অচিরেই পৌঁছবে।
আসুন তাঁর হাতকে শক্তিশালী করে জঙ্গিবাদ ও কুসংস্কারমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উজ্জ্বল, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ
জাতীয় সংসদ সদস্য