রুমন ভট্টাচার্য »
সড়কের ফুটপাতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের বই। এসব বই দেখতে ভিড় বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। লাইনে দাঁড়িয়ে বই হাতে নিয়ে কেউ নেড়েচেড়ে দেখছেন, কেউ পড়ছেন, কেউ আবার নিজের পড়া বইগুলো রেজিস্ট্রেশন বুথে জমা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বই নিচ্ছেন। পুরো ফুটপাতেই ছিল বই আর শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস। এ যেন বইময় ফুটপাত।
গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জামালখান মোড়ের চিত্র ছিল এমনই।
বই নয়, জ্ঞানের বিনিময় এই সেøাগানে ‘ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ’ এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘বই বিনিময় উৎসব’। যেখানে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৫টি বই বিনিময়ের সুযোগ ছিল। চট্টগ্রামে এমন আয়োজন এই প্রথম বলে জানান আয়োজকরা।
গতকাল সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই ‘বই বিনিময় উৎসব’ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। উৎসবে গল্প, উপন্যাস, সাহিত্য, ধর্মতত্ত্বসহ ১২টি ক্যাটাগরির বই ছিল। মোট স্টল সংখ্যা ছিল ১১টি। স্টলগুলোতে সাজানো ছিল বিভিন্ন ধরনের বই। ওখান থেকে রেজিস্ট্রেশনকারীরা তাদের বই বিনিময় করেছেন।
জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে থাকা নিলয় চৌধুরী জানান, অনলাইনে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছিল তারা সরাসরি এসে কুপন নিয়ে যাচ্ছে। আবার যারা রেজিস্ট্রেশন করেনি তারা আলাদাভাবে এখানে করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করে কুপন সংগ্রহের পর ক্যাটাগরি অনুসারে যে ক্যাটাগরিতে যিনি বই দিতে পারছেন উনি ওই ক্যাটাগরি থেকে বই সংগ্রহ করবেন। এর বাইরে পছন্দের সুযোগ নেই। মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৫টি বই বিনিময়ের সুযোগ রাখা রয়েছে।
বই বিনিময় করতে আসা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রাফসান বলেন, ‘খুবই ভালো একটা উদ্যোগ। চট্টগ্রামে এমন আয়োজন আগে কোনোদিন হয়নি। এমন ধারা অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে নিঃসন্দেহে।’
ওয়াইড বক্স সায়েন্স ক্লাবের পরিচালক ও বই উৎসবের স্বেচ্ছাসেবক রক্তিম বড়–য়া বলেন, ‘চট্টগ্রামে এবারই প্রথম আয়োজন। এর আগে তিনটা জেলায় হয়েছিল। করোনার কারণে এবার চট্টগ্রামে বই মেলা হয়নি। সে কারণে বইয়ের সাথে সম্পৃক্ততা হয়নি যেটা ফেব্রুয়ারি মাসে সবার হয়। বই বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা চাই নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে। যে কোনো ধরনের বই যদি পড়ার যোগ্য থাকে তাহলে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।’ ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা জানান আয়োজকেরা।