নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে ভাসমান কিশোরীদের নানা কৌশলে নিয়ে এসে নানা অপরাধমূলক কাজ করতো একটি মানবপাচার চক্র। এসব কর্মকা-ের সাথে জড়িত রয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাও। আর এসব অপরাধের কারণে দলের মূলহোতা তৃতীয় লিঙ্গের শ্রাবন্তীসহ তার দলের চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে বন্দর এলাকায় ইছহাক ডিপো টোলপ্লাজার বাইপাস রোডের পাশে এক অভিযান পরিচালনা করে চার তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত কিশোরীরা ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তৃতীয় লিঙ্গের শ্রাবন্তী (৩৪) তার সহযোগী মিতু আক্তার কাজল (১৯), আমির হোসেন (৩৫), মো. জামাল (৫২) ও আব্দুল জলিল (৫৫)।
জানা যায়, নানা অপরাধমূলক কাজের জন্য নগরীর রেলওয়ে স্টেশন এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে নানাভাবে ফুঁসলিয়ে ভাসমান কিশোরীদের নিয়ে আসতেন মূলহোতা তৃতীয় লিঙ্গের শ্রাবন্তী। এরপর তাদের রুমে আটকে রেখে যৌনকর্মে বাধ্য করতেন শ্রাবন্তীসহ তাদের দলের সদস্যরা।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘নানাভাবে ফুঁসলিয়ে রেলস্টেশন থেকে ভাসমান কিশোরীদের নিজের ঘরে নিয়ে আসতো শ্রাবন্তী। এরপর ওই ঘর আটকে রেখে যৌনকর্মে বাধ্য করতো। আমরা শ্রাবন্তীসহ তার চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’