নগরীতে বেড়েছে অগ্নিকা-ের ঘটনা। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য মতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট ১৩৩টি অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এ দেড় মাসে আগুনের ঘটনায় মারা গেছেন ৫ জন।
বাসা-বাড়ির বদ্ধ ঘরে জমে থাকা গ্যাস, চুলা কিংবা গ্যাস লাইনের পাইপের ফুটো থেকে নির্গত গ্যাসে এবং বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অধিকাংশ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সরকারি সেবা সংস্থার নজরদারির অভাবে অগ্নিকা-ের ঝুঁকিও বাড়ছে। নগরে বড় কোন অগ্নিকা- বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনবলের সংকটে পড়বে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নগরের ভবন ও মার্কেটগুলোর মধ্যে ৯৭ শতাংশ আগুনের ঝুঁকিতে আছে। ৯৩ শতাংশ বহুতল ভবনের কোনো রকম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। আইন থাকা সত্ত্বেও ৯৭ শতাংশ ভবনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের বসবাসের উপযোগী ছাড়পত্র নেয়নি অনেক ভবন মালিক ও প্রতিষ্ঠান। বেশিরভাগ ভবন পুরনো, সেখানে প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সংযোজন করাও কঠিন। তাছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলেও আগুনের ঘটনা বাড়ছে। এ তথ্যগুলো উঠে এসেছে সুপ্রভাতের রিপোর্টে।
নগরীতে প্রায় সাত হাজারের মতো বহুতল ভবন আছে। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভবন আবাসিক ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি আগুনের ঝুঁকিতে আছে।
নগরীর ৭০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য মাত্র পৌনে চার’শ জনের মতো দমকল বাহিনীর কর্মী রয়েছে। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূমিকম্প ও বড় কোনো অগ্নিকা-ের ঘটনায় জনবল সংকটে পড়তে হবে। তাছাড়া বর্তমান ফায়ার ফাইটারদের আধুনিক ট্রেনিংয়েরও প্রয়োজন আছে।
সীমিত লোকবল দিয়ে এখন কোনোভাবে অগ্নিকা-ের ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করছে ফায়ার সার্ভিস। যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ভূমিকম্পের মতো বড় কোন ঘটনা ঘটবে তখন নিশ্চিতভাবে বড় ধরনের জনবল সংকট হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ