দুদকের মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক »
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর দায়ের করা মামলায় ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জানে আলমকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমেদ ভুঁইয়া শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি সরকারি কর্মসৃজন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন, দাঁতমারা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জানে আলম, ফটিকছড়ির কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিজুল হক, একই ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সুজিত কুমার নাথ, ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম ও তৎকালীন ট্যাগ অফিসার প্রণবেশ মহাজন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের ১ম ও ২য় পর্যায়ের মোট ৮০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দৈনিক ২০০ টাকা মজুরি হারে ৪১ জন শ্রমিকের ৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রকল্পে ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। তারা কেউই শ্রমিক নয় এবং সকলেই স্বাবলম্বী। তাদের মধ্যে স্কুল প্রধান শিক্ষক, পুলিশ সদস্য, গ্রাম পুলিশ, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ছিল। তারা কখনো কৃষি ব্যাংকে যাননি কিংবা হিসাব খোলেননি এবং টাকাও উত্তোলন করেননি।
এরপর ২০২০ সালে দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন তদন্ত করে ৪১ জন শ্রমিকের অর্থ আত্মসাতের দালিলিক প্রমাণ পাওয়ায় চেয়ারম্যানসহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে দুদক কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেন।
মামলা দায়েরের পর চেয়ারম্যান জানে আলম হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। হাইকোর্টের দেয়া আগাম জামিনের সময়সীমা শেষ হওয়ায় চেয়ারম্যান জানে আলম জজ কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।