নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, হালিশহর, পাহাড়তলী ও খুলশী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ মাহমুদ আপিল শুনানিতে তার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এর পূর্বে ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা দেওয়ার কারণে তার মনোনয়ন রির্টানিং কর্মকর্তা বাতিল করেন। আপিল আবেদনের শুনানির পর তাকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের যোগ্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সোমবার নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামের বেইজমেন্ট-২ এ অনুষ্ঠিত ৩০১ থেকে ৪০০ আপিল আবেদনের শুনানিতে চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী ফরিদ মাহমুদের মনোনয়ন গ্রহণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ফরিদ মাহমুদ বলেন, সবার দোয়ায় আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমি ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে, এরপর ২০২৩ সালের উপনির্বাচনে এবং এবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু পাইনি। এবার আওয়ামী লীগ মাঠ উন্মুক্ত করায় আমাদের নেতা-কর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের কথায় স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছি। পার্টির কর্মীরা না চাইলে আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতাম না। মানুষের ভালোবাসা কতটুকু পাই তা দেখতে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।’
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন দফা অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফছারুল আমীন। চলতি বছরের ২ জুন তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মহিউদ্দিন বাচ্চু।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু, তৃণমূল বিএনপির মো. ফেরদাউস বশির, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, জাতীয় পার্টির জহুরুল ইসলাম রেজা, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মিজানুর রহমান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মো. আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আলমগীর ইসলাম বঈদী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনজুর আলম ও ফরিদ মাহমুদ।