নিজস্ব প্রতিবেদক »
করোনাকে রুখতে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সরকার। প্রথমে সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত শিশুদের দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম মহানগরে ৩ লাখ ১০ হাজার চারশো ২২জন শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। আজ থেকে সব উপজেলাতে টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হওয়া কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যেসব উপজেলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন , শুধুমাত্র সেসব উপজেলাতে শুরু হবে এ কার্যক্রম।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী।
তিনি বলেন, আজ থেকে সারাদেশে করোনাটিকা প্রদান কার্যক্রমের কথা ছিলো। কিন্ত এ ব্যাপারে গত শনিবার (৮অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে আরেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় উপজেলা পর্যায়ে যারা টিকা প্রদান করবে, তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। কারণ কমিউনিটি টিকার ডোজ আলাদা। এটি শুধু বাচ্চাদের জন্য তৈরি, ০ পয়েন্ট ২ এমএল করে দিতে হয়। তবে রয়েছে আলাদা ভায়োলোমিটি। এক ভায়োলোমিটির মিশ্রণ ঘটিয়ে ১০টা ডোজ করা হয়। রয়েছে আরও নানা নিয়ম। যার জন্য দুই তিন ঘণ্টার একটা প্রশিক্ষণ লাগে। তাই এ বিষয়ে উপজেলাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যেসব স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন, সেসব উপজেলাতে আজ শুরু হবে টিকা প্রদান। বাকিগুলো প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করবে।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সকল উপজেলায় আগে থেকেই ডাক্তারসহ দুজনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। তারা এখন সেসব উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রশিক্ষণ শেষ করতে যতদিন লাগবে, ততদিন টিকা কার্যক্রম শুরু হবেনা। প্রশিক্ষণ শেষ করতে দুয়েক দিন লাগলে কোনো সমস্যা নেই। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মজুদ রয়েছে। সব উপজেলায় টিকা প্রদান করা হবে।]
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ আগস্ট থেকে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো। ১৪ দিনব্যাপী এ কার্যক্রমে ৩ লাখ ১০ হাজার চারশো ২২জন শিশুকে টিকা প্রদান করা হয়। তার মধ্যে ছিলো আগ্রাবাদ জোনে ৩৩ হাজার চারশো ৮৯ জন, বন্দর জোনে ৪৮ হাজার ছয়শো ১৬ জন, দেওয়ান বাজারে ৩৮ হাজার আটশো ৬০ জন, কাপাসগোলা জোনে ৬৩ হাজার আটশো জন, মেমোন জোনে ৩৯ হাজার নয়শো ৫ জন, পাঁচলাইশে ৩৬ হাজার জন, উত্তর কাট্টলী জোনে ৫০ হাজার একশো ৭৬ জন।