সুপ্রভাত ডেস্ক :
হিলারি ক্লিনটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেনের প্রতি তড়িঘড়ি পরাজয় মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ২০১৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার ‘দ্য সার্কাস’ নামক একটি শোটাইমের সাথে সাক্ষাতকারে হিলারি বলেন, সকল ভোট গণনা না হওয়া পর্যন্ত বাইডেনের উচিত হবে পরাজয় স্বীকার না করা। কারণ তিনি মনে করেন, ভোট গণনা প্রলম্বিত হতে পারে।
হিলারি বলেন, কোন অবস্থাতেই বাইডেনের পরাজয় স্বীকার করা উচিত হবে না। কারণ আমি মনে করি, ভোট গণনা প্রলম্বিত হবে। এছাড়া আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি এক ইঞ্চিও ছাড় না দেই এবং অন্যদিকে মনোযোগ না দিয়ে কেবলমাত্র এদিকটায় নজর দেই তাহলে বাইডেন জিতবে।
হিলারি ২০১৬ সালের নির্বাচনে ৩০ লাখ বেশি ভোট পেয়েও হেরে যান। তিনি রাজ্যে রাজ্যে ইলেক্ট্রোরাল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
হিলারি বলেন, রিপাবলিকানরা কয়েকটি বিষয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। এর একটি অনুপস্থিত ভোটারের ভোট নিয়ে কারসাজি।
এ প্রেক্ষিতে তিনি ব্যাপক আইনী পদক্ষেপের বিষয়ে ডেমাক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের বাইরে রিপাবলিকান ও ট্রাম্প যে ধরণের ভয়ভীতি দেখানোর আয়োজন করছে তা মোকাবেলায় আমাদেরও নিজস্ব দল থাকতে হবে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে আমেরিকায় অধিকাংশ ভোটার ডাকযোগে অর্থাৎ মেইল ইন ভোটিং পদ্ধতিতে তাদের ভোট দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাম্প বরাবরই এ পদ্ধতিতে ভোট জালিয়াতি হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করে আসছেন। এমনকি তিনি অর্থ সংকটে থাকা মার্কিন পোস্টাল সার্ভিসকে প্রয়োজনীয় তহবিল দিতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
যদিও আমেরিকায় তেমন কোন অভিযোগ ছাড়াই ভোটাররা এ পদ্ধতিতেই ভোট দিয়ে আসছেন। এমনকি ট্রাম্প নিজেও মেইলেই ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ডেমোক্রেটরা অভিযোগ করছে ট্রাম্প ইচ্ছেকৃতভাবে পোস্ট অফিসের এ পদ্ধতিকে ধ্বংস করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এদিকে ট্রাম্প নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেবেন এমন নিশ্চয়তা দিতে বারবারই অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী জরিপের সকল ফলাফলেই এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে আছেন।