প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা জয় প্রোটিয়াদের

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

অনেক হয়েছে ‘চোকার্স’ ডাকাডাকি। অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে উঠল বৈশ্বিক শিরোপা। তাও কিনা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাট টেস্টে। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের শিরোপা জিতেছে টেম্বা বাভুমার দল। সেই সাথে অক্ষুন্ন থাকল অধিনায়ক হিসেবে বাভুমার জয়ের ধারা। ২০২৩ সালে অধিনায়ক হওয়ার পর বাভুমার অধীনে ১০টি টেস্ট খেলেছে প্রোটিয়ারা। জিতেছে এর ৯টি ম্যাচেই, বাকি একটি হয়েছে ড্র। অর্থাৎ, বাভুমার ক্যাপ্টেন্সিতে কোনো টেস্ট হারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাভুমা। স্টিভ স্মিথের ৬৬ ও বিউ ওয়েবস্টারের ৭২ রানের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ২১২ রান। কাগিসো রাবাদার ফাইফারের সাথে তিন উইকেট পান মার্কো ইয়ানসেন। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ২৮ রানের খরচায় ৬ উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের ১৩৮ রানে গুটিয়ে দেন কামিন্স। তবে বোলারদের সাফল্য অব্যাহত ছিল তৃতীয় ইনিংসেও। এবার স্টার্ক মাথা তুলে দাঁড়ানোয় দুইশ পেরোয় অস্ট্রেলিয়া। ১৩৬ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিতই থাকেন স্টার্ক, যা তার ক্যারিয়ারের ১১তম অর্ধশতক। এছাড়া ৪৩ রান আসে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে। ১৪৮ রানে ৯ম উইকেটের পতন ঘটলেও ৫৩ বলে ১৭ রান করা জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে ২০৭ রান অবধি দলকে টেনে নেন স্টার্ক। সব মিলে অস্ট্রেলিয়ার লিড দাঁড়ায় ২৮১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাবাদা চারটি ও লুঙ্গি এনগিডি তিনটি উইকেট শিকার করেন। ফাইনালের মেজাজ অনুযায়ী ২৮২ রানের লক্ষ্য মোটেও মামুলী নয়। তবে অ্যাইডেন মারক্রাম ও অধিনায়ক বাভুমা অজিদের সব হিসেবনিকেশ পণ্ড করে দেন। দলীয় ৯ রানে রিয়ান রিকেলটন ও ৭০ রানে উইয়ান মাল্ডার বিদায় নিলে দলের হাল ধরেন মারক্রাম ও বাভুমা। তৃতীয় দিনের শেষ ৩৮ ওভারে প্রোটিয়াদের কোনো উইকেট তুলতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাকি ছিল মাত্র ৬৯ রান। মারক্রাম ও বাভুমার মহাকাব্যিক পার্টনারশিপের পর যা ছিল মামুলী ব্যাপার। যদিও প্রোটিয়ারা কোনো ঝুঁকি নেয়নি। অজিরাও জয়ের আশা হারায়নি। চোট নিয়েই চতুর্থ দিন ক্রিজে নামেন বাভুমা। ১৩৪ বলে ৬৬ রান করে কামিন্সের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ট্রিস্টান স্টাবস এসে দেন ধৈর্যের পরীক্ষা। ৪৩ বলে ৮ রান করে তিনিও ফিরলে ক্রিজে নামেন ডেভিড বেডিংহাম। অন্য প্রান্তে সেঞ্চুরিয়ান মারক্রামও খেলছিলেন দেখেশুনে। জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে থাকতে থামতে হয় মারক্রামকে, এর আগে ২০৭ বলে ১৩৬ রান করেন তিনি। তবে বেডিংহাম ভেরেইন্নেকে নিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান দলকে। ৫ উইকেটে জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের তকমা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।