ডিসিকে শামীম
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ফরম নেওয়ার সময় জেলা প্রশাসকের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের মতো যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তা তিনি সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেছেন। যদি তিনি রাজনীতি করতে চান, তাহলে প্রজাতন্ত্রের চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আসুন। সরকারের লুটপাট, দুর্নীতি, গুম, খুন নির্যাতনে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। সারাদেশের জনগণ আজ রাজপথে নেমে এসেছে। সেখানে একজন ডিসির এমন বক্তব্য কোনভাবে কাম্য নয়। শুধু ডিসি নন, সরকারী আমলারাও রাজনীতির ভাষায় কথা বলছেন। যেসব আমলা ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষায় রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, সরকারের দোসর হচ্ছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে আগামী দিনে তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
গতকাল রোববার নগরীর নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে ‘পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী লীগের নৃশংস হামলা’র প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মাহবুবের রহমান শামীম আরও বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে চট্টগ্রামের মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবো না। সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপির নেতাদের উপর হামলা শুরু করছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্যামা ওবায়েদ, তাবিথ আওয়ালসহ জাতীয় নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এভাবে হামলা করে জনগণের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। যে খানে হামলা হবে সেখানে পাল্টা হামলা করতে হবে। যেখানে আঘাত আসবে সেখানে পাল্টা আঘাত করা হবে। সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাদের পতন সন্নিকটে।
তিনি বলেন, অতীতের নির্বাচন কমিশনদের মত এই নির্বাচন কমিশনও সরকারের আজ্ঞাবহ। যার কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনী রোডম্যাপ ও ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা করেছে। এই আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ দেশের কোন নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে ইভিএম ব্যবহার করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একতরফা ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন এ দেশের জনগণ হতে দেবে না। নিদর্লীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, নূর মোহাম্মদ, জসীম উদ্দীন সিকদার, সরোয়ার আলমগীর প্রমুখ।