চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন সরকারের উন্নয়ন কাজে প্রকৌশলীদের আরও সহযোগিতা চেয়েছেন এবং তাদের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি প্রকৌশলীদের হাতে। তারাই উন্নয়নের কারিগর। নগরায়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অবদান রয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্প কত দ্রুত শেষ হবে, সেটিও তাদের ওপর নির্ভর করে। আসুন, সবাই মিলে নগরীকে উন্নত ও সুন্দর করে গড়ে তুলি এবং সেভাবেই কাজ করি। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি অর্জনের পেছনে রয়েছে ত্যাগ। দেশের সমৃদ্ধিতে এ ত্যাগের ইতিহাস আমাদের পথ দেখাবে। দেশকে আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে চাই। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে পারব, ইনশাল্লাহ।’
গতকাল বিকেলে টাইগারপাসস্থ চসিক নগরভবনে প্রকৌশল বিভাগের ৩ ও ৫ নম্বর ডিভিশনের সাথে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নগরীতে চলমান উন্নয়নকাজ সময় মতো শেষ করার ক্ষেত্রে প্রকৌশলীদের তদারকি বাড়াতে হবে। অফিসে অহেতুক সময় নষ্ট না করে রাস্তায় যেখানে উন্নয়নকাজ চলছে, সেখানে সময় দিন। কাজের গুণগতমান পরীক্ষা করুন। কোন্ কোন্ ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করছে, তাদের তালিকা আমাকে দিন। কাজ আদায়ের ক্ষেত্রে আমি কাউকেই ছাড় দেব না। নগরীর যেসব সড়কে এখনো খানাখন্দক রয়েছে সেগুলো জরুরিভিত্তিতে ভরাট ও মেকাডম করে যানচলাচলের উপযোগী করাসহ যে-সমস্ত চলমান প্রকল্প রয়েছে, সেগুলোর সার্বিক চিত্রের ফাইল প্রশাসক বরাবরে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়া যে-সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে সেগুলোর হালচিত্র তাঁকে ত্বরিত অবগত করে তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রশাসক। এ সময় প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, কামরুল ইসলাম, আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু ছিদ্দিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি