যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশীর খবর। কোনো অমুক্তিযোদ্ধা যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে ফায়দা লুটতে না পারে সে লক্ষ্যে সারাদেশে একযোগে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। গতকাল রোববার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত মহানগর পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। গতকাল এ কার্যক্রমে মৃত, যুদ্ধাহত বা অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। নগরীর মোট ১৬৭ জন মধ্যে দু’দিনে মোট ৭৫ জন জীবিত, মৃত, অসুস্থ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার তথ্য যাচাই-বাছাই করা হয়। ২ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রমের সমাপনী দিন সকাল ১০টা থেকে বাকী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) মনোনীত যাচাই-বাছাই কমিটি মহানগরীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম পরিচালনা করেন কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া। জেলা প্রশাসক মনোনীত কমিটির সদস্য যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইলিয়াস ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেলিম উল্লাহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. হারুন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হোসেন, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল বশর, যুদ্ধকালীন বেইস কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ সরদার, কবি-প্রাবন্ধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অরুণ দাশ (সাথী), মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছারসহ মহানগরীর সকল থানা কমান্ডারবৃন্দ।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও কমিটির সদস্য সচিব এস এম জাকারিয়া জানান, যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ প্রমানের জন্য সংশ্লিষ্ট গেজেটসমূহে নাম প্রকাশিত হয়েছে এমন বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে কমপক্ষে ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধাসহ প্রশিক্ষণার্থী ও সাক্ষীসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি