সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠলেও এখনো ধকল কাটিয়ে উঠতে পারেননি পিএসজি তারকা লিওনেল মেসি। তাই লিওঁর মাঠে লিগ ওয়ানের ম্যাচে মাঠে ছিলেন না আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। আর চোটের কারণে আগে থেকেই মাঠের বাইরে নেইমার। এ ম্যাচেই অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি। খবর ডেইলি-বাংলাদেশ’র
রোববার রাতে লিওঁর মাঠে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। লুকাস পাকেতার গোলে পিএসজি পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন টিলো কেরার। আসরে প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে লিঁওকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল পিএসজি।
এদিন শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে পিএসজি । ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলরক্ষক কেইলর নাভাস প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার হুসেমের শট ঝাঁপিয়ে ফেরালেও দুই মিনিট পর আর পারেননি। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পাকেতা। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি নাভাস। সেপ্টেম্বরের ওই ম্যাচেও এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল লিওঁ। ২১তম মিনিটে গোল পেতে পারতো পিএসজি। তবে লেয়ান্দ্রো পারেদেসের শটে শেষমুহূর্তে সামান্য বাঁক খাওয়া বল ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক অঁতনি লোপেস। তিন মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে মার্কিনিয়োসের শট একজনের পায়ে লেগে উঁচু হয়ে গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে লক্ষ্যেই ছিল, কোনোমতে এক হাত দিয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান লোপেস। ৪২তম মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি পিএসজি। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল লিওঁর রক্ষণ ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় পেয়ে যান এমবাপে। তার শট দূরের পোস্টে প্রতিহত হয়।
অনেক চেষ্টার পর ৭৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে পিএসজি। ডি-বক্সে ডান দিকে ফাঁকায় বল পেয়ে টিলো কেরারের নিচু শট পা বাড়িয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন গোলরক্ষক, তার পায়ে লেগেই বল চলে যায় জালে। তিন মিনিট পর ফের এগিয়ে যেতে পারতো লিওঁ। তবে ডান দিক থেকে রায়ান চের্কির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। একটু পর আবারও এমবাপের পথে দুর্ভাগ্য বাঁধ সাধে। বাঁ দিক থেকে তার বাঁকানো ফ্রি কিক দূরের পোস্টে লাগে। মূল্যবান দুটি পয়েন্ট হারালেও লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুতই থাকছে পিএসজির। ২০ ম্যাচে ১৪ জয় ও পাঁচ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৪৭। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নিস। মৌসুমে খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া লিওঁ ১৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১১ নম্বরে।