জেলা প্রশাসনের অভিযান
৬ শতাধিক মধ্যস্বত্বভোগীর তালিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণে আনতে চট্টগ্রামে বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে দেখা গেছে, মধ্যস্বত্বভোগীর প্রায় ১০টি হাত ঘুরে পেঁয়াজ কিনছেন ভোক্তারা। এছাড়া পাইকারের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে বাড়ছে পেঁয়াজের দর। অভিযানে ছয়শতের বেশি মধ্যসত্ত্বভোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের ট্রেড লাইসেন্স যাচাই করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা যায়, অভিযানে ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা না টাঙানোর কারণে জাহেদ নামের এক ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা এবং বার আওলিয়া ট্রেডার্স ও ফরিদপুর বাণিজ্যালয় নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ৫ হাজার টাকা ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানের তথ্য জানিয়ে উমর ফারুক বলেন, ‘অভিযানে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, নগরের বিভিন্ন পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীর সাথে মধ্যস্বত্বকারী একটা সিন্ডিকেট আছে। এরাই মূলত পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনেকাংশে দায়ী। এখানে ডিমান্ড অর্ডার (চাহিদা আদেশ) এর মাধ্যমে শুধু একটি ক্রয় রশিদ বিক্রি হয় ১০ জনের বেশি ব্যবসায়ীর কাছে। এদের পাশাপাশি মিল মালিকদেরও কারসাজি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা বিভিন্ন ট্রেডিংয়ের দোকান থেকে ছয় শতের বেশি মধ্যস্বত্বভোগীর নাম এবং মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছি। এদের মাধ্যমে একটি পণ্য দফায় দফায় হাত বদল হয়ে দাম বাড়তে থাকে। বিষয়টি খুব সিরিয়াসলি (গুরুত্ব সহকারে) নিয়ে এদের ট্রেড লাইসেন্স চেকিংসহ পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।’
এ অভিযান প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। যে কোন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে সিন্ডিকেটের কিছু নাম ও মোবাইল নম্বারের তালিকা এসেছে। তাদের মধ্যে কারা জড়িত এবং তাদের ট্রেড লাইসেন্স ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’