সুপ্রভাত ডেস্ক :
নাটক-টেলিফিল্ম ছাড়াও করোনার সময়ে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একবারের জন্যও বাড়ির বাইরে যাননি। ঈদের পর শুটিংয়ে ফেরার কথা থাকলেও আরো কিছু দিন বাসায় থাকতে চান তিনি। করোনার আগে সর্বশেষ নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত সিনেমা ‘গাঙচিল’র শুটিংয়ে অংশ নিতে দেখা গেছে পূর্ণিমাকে। নুজহাত ফিল্মস প্রযোজিত এই সিনেমাটিতে পূর্ণিমার বিপরীতে দেখা যাবে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে। ছবিতে পূর্ণিমা অভিনয় করছেন এনজিও কর্মীর চরিত্রে। ছবিটির কাজ শেষ পর্যায়ে এসে করোনা পরিস্থিতির কারণে শুটিং বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, পূর্ণিমার জন্য অপেক্ষা করছে ফেরদৌসসহ ‘গাঙচিল’ ছবির পুরো ইউনিট। আগামী সপ্তাহে শুটিংয়ের সমস্ত আয়োজন গুছিয়ে আনলেও পূর্ণিমা আরো কিছুদিন দেরি করতে চান বলে জানিয়েছেন ফেরদৌস।
এ বিষয়ে ফোরদৌস বলেন, পূর্ণিমার মেয়েটা ছোট। তাছাড়া প্রতিদিন অনলাইনের ক্লাসগুলোতে পূর্ণিমাকে মেয়ের সঙ্গে থাকতে হয়। তাই আর জোর দিয়ে কিছু বলতে পারিনি। সে আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছে।
শুটিং না করার বিষয়ে পূর্ণিমা বলেন, জীবনের চেয়ে কাজ বড় হতে পারে না। শুধু শুধু ঝুঁকি নেব না। পরিচালক নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল ও অভিনেতা ফেরদৌস ভাই আমার অনুরোধ রেখেছেন। তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ১৯৯৭ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে দিলারা হানিফ রীতা ওরফে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি দারুণ সাফল্য পান। এখন পর্যন্ত তার অভিনীত ৮০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।
পূর্ণিমা অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত সর্বশেষ ছবি সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমিন খান ও রিয়াজ। ২০১০ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান পূর্ণিমা। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
বিনোদন