নিজস্ব প্রতিবেদক »
হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘিরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সকাল থেকে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সকাল ১১টা থেকেই বিক্ষোভকারীরা সেখানে জড়ো হতে শুরু করেন। তারা যাতে আদালত চত্বরে যেতে না পারে, সেজন্য পুলিশ সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। এরপর তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালত চত্বরে গিয়ে অবস্থান নেন। তবে মূল সড়কে কড়া নজরদারি রাখেন পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা।
পুলিশী বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কোতোয়ালী, নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট ও রাইফেল ক্লাবের দিক থেকে বিচ্ছিন্নভাবে জেলা পরিষদ ভবনের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। সেখান থেকে সবাই মিছিল করে আইনজীবিদের কার্যলয় দোয়েল ভবনের সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে যুক্ত হন আদালতপাড়ার আইনজীবীদের একাংশ।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে একাত্মতা ঘোষণা করছি। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, এখানে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক ও সিনিয়র আইনজীবী হাসান আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাদের পাশে থাকব।
অন্যদিকে এনেক্স ২ ভবনের সামনে অবস্থান নেন আওয়ামী পন্থী আইনজীবীরা। তবে পাশপাশি সমাবেশের কারণে উত্তেজনা থাকলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, কারফিউ শিথিল হলেও সভা সমাবেশ না করাসহ বেশ কিছু বিধি নিষেধ আছে। তাই সমাবেশ ঘিরে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিকাল ৩ টায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও অংশগ্রহণকারী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে লালদিঘী পর্যন্ত গিয়ে এ কর্মসূচীর সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কর্মসূর্চীতে নগরীর বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভার্সিটিসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষসহ হাজার খানেক মানুষ।