চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশে দারিদ্র সীমার নীচে অবস্থানকারীদের সংখ্যা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। তবে করোনাকালে মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে প্রান্তিক শ্রেণীর নারীদের সংখ্যা বেশি। ফলে এ প্রান্তিক শ্রেণীর নারীরা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি পুষ্টিহীনতার শিকার। তাদেরকে পুষ্টির যোগান দিতে ইউএনডিপি’র চলমান পুষ্টি খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম একটি ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত ইউএনডিপি ও ইউকেএইড এর সহায়তায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল নগরীর ফিরোজশাহ ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডস্থ গলাচিপায় অনুষ্ঠিত জরুরি পুষ্টি খাবার সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রশাসক এসব কথা বলেন। প্রশাসক চলমান এই প্রকল্পের ধারণা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে বলেন, এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে একটি সুস্থ, সবল ও বুদ্ধিমান পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব। আর এই সুস্থ সবল পরবর্তী প্রজন্ম পাওয়ার জন্য গর্ভবতী মাকে সর্বাগ্রে পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সংসারের কাজের বাইরেও রুটি-রুজির জন্য বাসা-বাড়ি, কারখানা বা অফিসে কায়িক পরিশ্রম করে উপার্জন করতে হয়। তারপরও নিজের শিশু সন্তানদের সময় দিয়ে ¯েœহ ভালোবাসা দিয়ে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। তা না হলে আদর মায়া মমতাহীন শিশুটির মধ্যে একধরনের সান্নিধ্য না পাওয়ার অভাব তৈরি হবে।
এর ফলে শিশুকাল থেকে তাদের মানসিক বৈকল্য ঘটতে পারে। এটা সমাজের জন্য একটি অশুভ লক্ষণ। কারণ এভাবেই একটি প্রজন্ম মাদক, সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে যায়। তাই এই বিষয়টি মাথায় রেখে মায়েদের নিজেদের উপার্জন, সংসার এবং সন্তান লালন-পালনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি দুর্যোগকালীন সময়ে ধৈর্য্যশীল হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন জীবিকার লড়ায়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরওয়ার হোসেন খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর