নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
সামনে টাঙানো হয়েছে পর্দা। দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি চলছে। কিন্তু সামনে গেলেই দেখা যায় সুকৌশলে পাহাড় কাটার দৃশ্য। পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে বসতঘর। এভাবে মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের বদ্ধ ভবানী এলাকায় দিনের পর দিন পাহাড় কেটে বসতঘর তৈরি করা হলেও বন বিভাগের কোন হুঁশ নেই।
জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের দুইটি বিটের আওতায় ১৪ হাজার ৩৭০ একর বন ভূমি রয়েছে। এসব বনভূমির সবটুকু সংরক্ষিত। কিন্তু ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দিনের পর দিন সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধ্বংস করে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি। দিনের পর দিনের এসব বনাঞ্চল ধ্বংস হলেও বন বিভাগের কোন হুঁশ নেই। মাঝে মধ্যে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করা হলেও অধিকাংশ সময় থাকে অগোচরে।
গত ২১ আগস্ট করেরহাট ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বদ্ধ ভবানী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ৩০ ফুট উঁচু প্রায় ১ একর পরিমাণের একটি পাহাড় কাটা হচ্ছে। পাহাড় কাটা গোপন করতে সামনে টাঙানো হয়েছে পর্দা। পাহাড়ের মাটি কেটে দেয়া হচ্ছে সামনের লেবু বাগানে। ১ একর পাহাড়টির প্রায় ৩০ শতাংশ কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড়টি কাটছেন ওই গ্রামের শামসুল আলমের পুত্র ফখরুল ইসলাম। তবে ২১ আগস্ট রোববার হওয়ায় পাহাড় কাটা বন্ধ ছিল। রোববার স্থানীয় করেরহাট ও কয়লা বাজার হওয়ায় এলাকায় লোক সমাগম বেশি থাকে। তাই ওই দিন পাহাড় কাটা বন্ধ রাখা হয়।
শামসুল আলমের পুত্র ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘পাহাড়টি দীর্ঘ দিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। পাহাড়ের মাটি ধসে অন্যের জমিতে পড়ায় পাহাড়টি কেটে বসতঘর তৈরি করছে বাবা। পাহাড় কাটা আইনগত দ-নীয় অপরাধ জানালে তিনি এ ব্যাপারে বলেন, পাহাড়টি বাবা বসতঘর তৈরি করতে কেটেছে। পাহাড় কাটার সাথে জড়িত না আমরা।’
উত্তর বন বিভাগের করেরহাট রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন এলাহী বলেন, পাহাড় কাটা দ-নীয় অপরাধ। করেরহাট রেঞ্জের ইসলামপুর ভবানী এলাকার পাহাড়গুলো সংরক্ষিত বনের আওতায় পড়েছে। এসব পাহাড় কেটে স্থাপনা তৈরির সুযোগ নেই কারো। এ বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।