নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাকালে বায়েজীদ ও আকবরশাহ থানাধীন এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে দুই জনকে ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর মঙ্গলবার শুনানি শেষে এই জরিমানা ধার্য্য করে।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নূরী বলেন, করোনার এই বন্ধের সুযোগে অনেকে পাহাড় কেটেছে। লকডাউনের সময় আমরা পরিদর্শন করতে পারিনি। তবে লকডাউন শেষ হওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পাহাড় কাটায় জড়িতদের শনাক্ত করে শুনানির আয়োজন করে জরিমানা করছি।
তিনি আরো বলেন, বায়েজীদ ও আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটায় জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় দুই জনকে মঙ্গলবার শুনানি শেষে ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে পাহাড়কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, বায়েজীদ আরেফিন নগর তালেমুল কোরআন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মোহাম্মদ তৈয়ব মাদ্রাসা সংলগ্ন পাহাড় কাটছিলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ৭ জুন তা প্রমাণ পেয়েছেন এবং তাদেরকে শুনানির জন্য মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরে ডাকা হয়েছিল। সংস্থাটি ৩২ হাজার ৬০০ ঘনফুট পাহাড় কেটেছে বলে প্রতীয়মান হয়। এঘটনায় তাদের ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বলা হয়।
অপরদিকে আকবরশাহ থানাধীন ফয়’স লেক এলাকায় পাহাড় কাটা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক পরিদর্শন করে সেখানে ১৮ হাজার ঘনফুট পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছে। মঙ্গলবার শুনানি শেষে পাহাড় কাটায় জড়িত আলী শাকের মুন্নাকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়।
উল্লেখ্য, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে পাহাড় কাটা বেড়ে গেছে। আর এই বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও জরিমানা করা হচ্ছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ