নিজস্ব প্রতিবেদক
এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাশের হার কমেছে। জিপিএ-৫ এর সংখ্যাও কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ। সেই সাথে গতবছর ইংরেজি বিষয়ে পাশের হার কম থাকলেও এ বছর ইংরেজির সাথে যুক্ত হয়েছে গণিতও।
২৮ জুলাই মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে অংশ নিয়েছে ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ যা গতবারের তুলনায় ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন, গত বছর যা ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
বিষয় হিসেবে ইংরেজি ও গণিতে পাশের হার কমছে। যার প্রভাব সার্বিক পাশের হারে পড়েছে। এ বছর ইংরেজিতে পাশের হার ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ। অর্থাৎ ইংরেজিতে ফেল করেছে মোট পরীক্ষার্থীর প্রায় ১০ শতাংশ। যা সংখ্যায় সাড়ে ১৫ হাজার। গণিতে পাশের হার ৮৭ দশমিক ১১ শতাংশ অর্থাৎ গণিতে ফেল করেছে ১২দশমিক ৮৯ শতাংশ। যা সংখ্যায় প্রায় ২০হাজার।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুৃলের প্রধান শিক্ষক মমতাজ আকতার বলেন, ‘গণিতের প্রশ্ন তেমন কঠিন হয়নি। তবে গণিত হলো প্র্যাকটিসের বিষয়। সবসময় এটি চর্চায় রাখতে হয়। গণিতের ব্যাসিক বিষয়গুলো প্রতিটি শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে চর্চা না করলে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। করোনার কারণে গত ২ বছর ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা ভালোভাবে করার সুযোগ পায়নি। এক শ্রেণি থেকে অন্য শ্রেণিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে উত্তীর্ণ হয়েছে। যেখানে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু হয়তো চর্চা হয়নি। যার ফলে সার্বিকভাবে গণিতকে বুঝে উঠতে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। পাশের হার গণিতে কমে যাওয়ার এটি বিশেষ একটি কারণ হতে পারে।’
এছাড়া বাংলায় পাশ করেছে ৯৮দশমিক ৯৭ শতাংশ , উচ্চতর গণিতে পাশ করেছে ৯৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ , বিজ্ঞানে পাশ করেছে ৯৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ, পদার্থ বিজ্ঞানে পাশ করেছে ৯৯ দশমিক ০৭ শতাংশ, রসায়নে পাশ করেছে ৯৭ দশমিক ৪২ শতাংশ, জীববিজ্ঞানে পাশ করেছে ৯৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ব্যবসায় উদ্যোগ বিষয়ে পাশ করেছে ৯৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ, হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে পাশ করেছে ৯৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে পাশ করেছে ৯৯ দশমিক ৪ শতাংশ, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিষয়ে পাশ করেছে ৯৮দশমিক ৯৯ শতাংশ।