সুপ্রভাত ডেস্ক »
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দুই মন্ত্রী ও তিন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৈঠকে অংশ নেয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা হলেন: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সামছুন্নাহার চাঁপা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রোমানা আলী এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
এর আগে দুপুড় সাড়ে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন কাদের। এদিন খুব একটা দীর্ঘ হয়নি সংবাদ সম্মেলন। সংবাদ সম্মেলন শেষে দফতর কক্ষে চলে যান ওবায়দুল কাদের। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে দফতর কক্ষে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুই মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। বেলা দেড়টার দিকে আরও বাকি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এসে যোগ দেন। বৈঠকে আসতে দেখা গেছে দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াকেও।
ধারনা করা হচ্ছে হঠাৎ করা এই বৈঠকে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নানা দিক ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধা, আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন দেওয়া, শিক্ষকদের আন্দোলনও একই সময় হওয়া, পরিস্থিতির পর্যালোচনা এবং ইস্যুটি কোন দিকে যেতে পারে— এসব বিষয় আলোচনায় উঠেছে। তবে এ নিয়ে বৈঠকে অংশ নেওয়া কেউ কোনও কথা বলেননি। বৈঠক শেষে একে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বেরিয়ে গেলেও কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার বিষয়বস্তু জানাননি।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় না।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করবো না। সেটা আদালতের বিষয়। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করবো না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করবো না।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে সাংবাদিকেদের তিনি বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচলা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। একটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।