পাঁচ বছর সংসারের পর স্ত্রী-কন্যাকে অস্বীকার!

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ছয় বছরের প্রেম। এরপর বাড়ি ছাড়েন খ্রিস্টান নারী। ধর্মান্তরিত হয়ে বসেন বিয়ের পিঁড়িতে। তাদের ঘর আলোকিত করে আসে কন্যাসন্তান। এরপর থেকে স্বামীর যৌতুক দাবির কারণে সংসারে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে নারী জানতে পারেন, ভুয়া কাগজে বিয়ে হয়েছে তাদের। এখন কোনো সম্পর্ক নেই দুজনের মধ্যে। যে যার যার মতো করে থাকেন। কন্যাসন্তানকে নিয়ে আশ্রিত বাবার বাড়িতে। অভিযুক্ত স্বামী নিজের সন্তানকেই অস্বীকার করছেন।

ভুক্তভোগী নারী টিনা রিবারো ওরফে লিন্ডা রিবারো টিনা। তিনি নগরের কোতোয়ালী থানাধীন বারেক কলোনির ফ্রেকিং রিভারোর কন্যা। স্বামী মাকসুদুর রহমান প্রকাশ নাইম রহমান। তিনি বান্ডেল রোড এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে। খবর বাংলানিউজের।

স্বামী ও সংসারসহ সব হারিয়ে টিনা এখন বিচারের আশায় ঘুরছেন চট্টগ্রাম আদালতে। মামলাও করেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

চট্টগ্রামের সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে টিনা রিবারো’র সঙ্গে প্রেম হয় নাইম রহমানের। ২০১৪ সালে নাইম তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রথমে কালেমা পড়িয়ে ধর্মান্তরিত করেন। এরপর বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। যদিও নাইম প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে কাবিননামা ছাড়াই টিনাকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের সংসারে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। নাইম আইপিএসের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মাঝখানে একবার দোকান আগুনে পুড়ে যায়। এরপর থেকে টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন নাইম। নানা টানাপোড়েনে একপর্যায়ে ২০১৯ সালে নাইম স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান।

ভুক্তভোগী টিনা রিবারো বলেন, ‘পরিবার-পরিজন সব ছেড়ে আমি নাইমের সঙ্গে সংসার শুরু করি। তার সবকিছু আমি বিশ্বাস করেছি। অথচ তিনি আমাকে এবং আমার কন্যাকে অস্বীকার করছেন। আমার কন্যার বয়স ৭ বছর। তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। আমি মামলা করেছি। তারপরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। আমি আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই। আবার নতুন করে সব শুরু করতে চাই’।

নাইম-টিনা থাকতেন জমিদার সৈয়দ দিদারুল আলমের ভাড়া বাসায়। তিনি বলেন, ‘টিনা রিবারো ও নাইম রহমান একসঙ্গে বাসা ভাড়া নিয়ে দুই বছর ছিলেন। এ সময় এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সুন্দরভাবে সংসার করছিল তারা। তাদেরকে সবসময় হাসিখুশিতে থাকতে দেখতাম।’

অভিযুক্ত নাইম রহমান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্যই এই ষড়যন্ত্র’।