সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামে খুন হওয়া শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের মৃতদেহের খুঁজে পাওয়া খ-িত অংশ দুটি তার পা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে বন্দরনগরীর আউটার রিং রোডের আকমল আলী ঘাট সংলগ্ন স্লুইচ গেইট এলাকায় আয়াতের ওই দেহখ- পাওয়া যায়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, আয়াত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবীর আলী যে স্থানে মৃতদেহের খ-িত অংশ ফেলেছিল বলে জানিয়েছে, তার অন্তত ৪০০ মিটার দূরে দুটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পা দুটি পাওয়া যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপপ সহায়তা নিয়ে টানা কয়েক দিন ধরে ওখানে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে আজ স্লুইচ গেইটের শেষ প্রান্তে একটি গর্তের ভেতর টেপ মোড়ানো দুটি প্যাকেট পাওয়া যায়, যেগুলোতে দুটি খ-িত পা ছিল।”
আয়াত ইপিজেড থানার নয়ারহাট ওয়াছমুন্সী বাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে। তাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়া থাকে আবীরের পরিবার। খবর বিডিনিউজ।
গত ১৪ নভেম্বর পাঁচ বছরের আয়াত নিখোঁজ হওয়ার পর ইপিজেড থানায় জিডি করে তার পরিবার। পরে পিবিআই তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবীরকে আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আবীর পিবিআই কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, আয়াতের মৃতদেহ ছয় টুকরো করে ছয়টি প্যাকেটে ভরে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল সে। এর মধ্যে মাথা ও দুই পা আকমল আলী রোড স্লুইচ গেইটের কাছে নর্দমায় এবং দুই হাত ও বাকি অংশ সাগরে ফেলার কথা বলেছিল সে।
পরিদর্শক ইলিয়াস বলেন, পা দুটি পাওয়া গেলেও মাথার সন্ধানে তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি আকমল আলী রোডের নর্দমায় সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দিয়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আবীরকে আটক করার পর ২৫ নভেম্বর পিবিআই জানিয়েছিল, ‘মুক্তিপণের’ জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করে আবীর। কিন্তু কোথাও রাখার জায়গা না পেয়ে তাকে হত্যা করে। তারপর আয়াতের বাবার কাছে টাকা দাবি করার পরিকল্পনা করে সে। সেজন্য একটি মোবাইলও কেনে। আর আগে রাস্তায় কুঁড়িয়ে পাওয়া একটি সিম তার সংগ্রহে ছিল। কিন্তু সেটা সচল না থাকায় ফোন করতে পারেনি।
ওই দিন আবীরকে নিয়ে পিবিআই সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত বটি এবং আয়াতের জুতা উদ্ধার করেন। পরে আয়াতের বাবা নগরীর ইপিজেড থানায় একটি হত্যা মামলা করেন
ওই মামলায় শনিবার প্রথম দফায় দুই দিনের রিমান্ডে পেয়ে আবীরকে সঙ্গে নিয়ে আয়াতের মরদেহের খ-িত অংশের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পিবিআই। পরে সোমবার আবীরকে ফের সাত দিনের হেফাজতে নেয় তদন্ত সংস্থা।
এছাড়া সোমবার রাতে আবীরের বাবা, মা ও বোনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে নেওয়া হয়।