নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান :
প্রতিবছর টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নামে পাহাড় কন্যা বান্দরবানে। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ দিন পর্যটক শূন্য ছিল পর্যটন নগরী বান্দরবান। তবে এবার ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টানা ৩ দিনের ছুটি থাকায় পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লেগেছে পর্যটন নগরী বান্দরবানে।
শুক্রবার সকাল থেকে শহরের হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে তিল ধারণের জায়গা নেই কোথাও। পর্যটকদের রুম দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বেশিরভাগ পর্যটকরা আগে থেকে রুম বুকিং করে রাখায় নতুন পর্যটকদের রুম দিতে পারছে না বলে জানান হোটেল ব্যবসায়ীরা।
ফানুস রিসোর্টের পরিচালক ইমরান উদ্দিন বলেন, টানা ৩দিনের ছুটি থাকায় বিপুল পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সবগুলো রুম বুকড। অনেক পর্যটককে রুম দিতে পারছি না। অনেকে রুম না পেয়ে চলে গেছে।
প্রতি বছর শীত মৌসুম ও টানা ছুটিতে পর্যটকের আগমন ঘটে বান্দরবানে কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ দিন পর্যটক শূন্য থাকায় নির্জীব হয়ে পড়েছিল পর্যটন নগরী বান্দরবান। লোকসান গুনতে হয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। অনেক দিন পর টানা ৩ দিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পাহাড় কন্যা বান্দরবানে। শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখা গেছে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। সেনাবাহিনীর পরিচালিত নীলগিরি জেলা প্রশাসন পরিচালিত মেঘলা, নীলাচল এবং স্বর্ণ মন্দির সব জায়গা এখন পর্যটকদের পদচারণায় মুখর। শিশু বৃদ্ধ যুবক যুবতিরা তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে চাঁদের গাড়িতে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে দর্শনীয় সব স্থান। কেউ কেউ ছুটে যাচ্ছে থানচির নাফাকুম রেমাক্রী দেখতে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা এক দম্পত্তি জানান, অনেক দিন করোনার কারণে কোথাও বেড়াতে যেতে পারিনি তাই ৩ দিনের ছুটি পাওয়ায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এদিকে অনেকদিন পর এতো পর্যটকের আগমন ঘটায় খুশি হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পরিবহন সেক্টরের মালিকরা।
পরিবহন শ্রমিক নেতা বাহাদুর জানান, পর্যটকদের জন্য আমাদের প্রায় ৪০০ চাঁদের গাড়ি রয়েছে। এতো বেশি পরিমাণ পর্যটক এসেছে এ গাড়ি দিয়েও সার্ভিস দিতে পারছি না।
হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর্যটক শূন্য ছিল বান্দরবান অনেকদিন পর টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ব্যবসায়ীরা অনেক খুশি। এদিকে পর্যটকদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানান, শীত মৌসুমে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসে টানা ছুটি থাকলে পর্যটকের আগমন আরো বাড়ে তাদের কথা মাথায় রেখে ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে সাদা পোশাকধারী পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে সব পর্যটন স্পট ঘুরে বেড়াতে পারবে।