শেষ হলো উবোমাস সোলার দৃষ্টি বারোয়ারী বিতর্ক প্রতিযোগিতা
বিশ্বজুড়ে ভারসাম্য হারানো প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার জানিয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এ বছর পালিত হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ উপলক্ষে পরিবেশ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে গ্রীনফিনিটির এনাজির সহযোগিতায় দৃষ্টি চট্টগ্রাম আয়োজন করে ‘উবোমাস সোলার দৃষ্টি পরিবেশ দিবস বারোয়ারী বির্তক প্রতিযোগিতা ২০২১।
১ জুন থেকে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল ৭ জুন নগরীর ২ নম্বর গেইটের হাইড আউট রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়।
দৃষ্টির সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরিয়া, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, উদ্যোক্তা ও সংগঠক গোলাম বাকী মাসুদ, জনস্বার্থ বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়া, তরুণ উদ্যোক্তা সৈয়দ জালাল আহমেদ রুম্মান, আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, উপ সম্পাদক অভিষেক পাল, সাখাওয়াৎ হোসেন মজুমদার ও সহ সমন্বয়কারী হোসাইন সামী।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বলেন, পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আমরা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছি। কর্ণফুলীর পানি ধারণ ক্ষমতা অনেক কমে গেছে, হালদায় লবণ পানি ঢুকে পড়েছে যার প্রভাব জনজীবনে প্রত্যক্ষ। তিনি বলেন, আগে অনেক পাহাড় পর্বত ছিলো, আমরা গাছ কেটে সব উজাড় করছি। তাই পরিবেশ প্রতিশোধ নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পলিথিনের ব্যবহার কমাতে হবে। কর্ণফুলীর তলদেশে হাজার হাজার টন পলিথিন জমে এর নাব্যতা কমে যাচ্ছে। কর্ণফুলীকে বাঁচাতে হবে চট্টগ্রামের স্বার্থে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়–য়া বলেন, পরিবেশ খুবই বিপন্ন। এটার জন্য আমরা নিজেরাই শতগুণে দায়ী। দেশের বাইরে থাকাতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে ওখানকার স্কুল-কলেজে শেখানো হয় কিভাবে পরিবেশের পরিচর্যা করতে হয়। কিন্তু এখানে এই বিষয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়, যার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা গড়ে উঠেনি। তাই ফেসবুক, টুইটার ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে হবে। পরিবেশ নিয়ে সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বাড়ানো একান্ত জরুরি।
সংগঠক গোলাম বাকী মাসুদ বলেন, আমাদের এখন জেগে উঠতে হবে। আমাদের সামনের দিনের জলবায়ু কেমন হবে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিতর্ক সচেতনতা বৃদ্ধির যাদুকাঠি হবে। আমাদের নতুন প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই। তিনি বলেন সোলার প্যানেল আমাদের আগামীর সম্ভাবনাময় শক্তির উৎস। আমাদের নিত্যনতুন প্রকল্পের মাধ্যেমে আমাদের প্রিয় চট্টগ্রাম গ্রিন সিটি হিসেবে গড়ে উঠবে। তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা রুম্মন আহমেদ বলেন আমাদের দেশকে আগের সৌন্দর্যে, আগের রূপে নিয়ে আসতে হলে সবচেয়ে যেটি বেশি প্রয়োজন তা হলো সচেতনতা বৃদ্ধি। বিজ্ঞপ্তি