নিজস্ব প্রতিবেদক»
ত্যাগের মহিমায় ভাবগাম্ভীর্যতার মধ্যদিয়ে দেশব্যাপী পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনা শনাক্তের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রোববার ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে পালিত হবে এ ধর্মীয় উৎসব। ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী ও সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তারা মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেছেন।
মুসলমানদের অন্যতম এই প্রধান ধর্মীয় উৎসবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি দেবেন।
আজ থেকে চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু আল্লাহর কৃপায় ও অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.) এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে পশু কোরবানি করে থাকে। উদ্দেশ্য আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা। বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে ১১ ও ১২ জিলহজও পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
এর আগে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ১৪৪৩ হিজরি সনের পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে। সে অনুযায়ী ১০ জুলাই বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে।
এদিকে সিএমপির দেওয়া নির্দেশনা মানতে হবে। ঈদে দর্শনীয় স্থানগুলো খোলা থাকবে। প্রত্যেকের আনন্দ-উৎসবে অংশ নেওয়ার অধিকার আছে। তবে এটি যেন কখনোই সীমা ছাড়িয়ে না যায়। রাতে উচ্চশব্দে গান বাজনার বিষয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এ বিষয়ে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
তাছাড়া ঈদ জামাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে জমিয়াতুল ফালাহ্ জামে মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং বড় ঈদ জামাতে। এছাড়া অন্যান্য মসজিদে ঈদ জামাতের নিরাপত্তা থানা, ফাঁড়ি কর্তৃক প্রদান করা হবে।
করোনা মোকাবেলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে ঈদ উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।