সুপ্রভাত ডেস্ক »
চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে চলাচলকারী তিনটি ফেরির ধাক্কায় পদ্মাসেতুর ১০, ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের পাইল ক্যাপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার নিরাপত্তার জন্য সেতুর পিলারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। পিলার ও ফেরিগুলোর চারপাশে রাবারের টায়ার (মেরিন ফেন্ডার) লাগানো হবে। এছাড়া, এ নৌপথে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে দুই জন সেনা সদস্য থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনী আয়োজিত সভায় এ সব সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় আরও কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসবের মধ্যে আছে-তুলনামূলক কম যানবাহন ফেরিতে নেওয়া, অনেক বছরের পুরনো ফেরি সরিয়ে শক্তিশালী ফেরি আনা, ফেরি ও লঞ্চের জন্য আলাদা পথ।
শিগগির এসব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো এগুলো বাস্তবায়ন করবে।
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ফেরির ধাক্কায় পিলার ক্ষতিগ্রস্তের ঘটনায় সরকার থেকে নির্দেশনা এসেছে পদ্মাসেতুর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যদের কাছে। সেতুর পিলারগুলোতে আলোকসজ্জা বৃদ্ধি করা হবে। পাশাপাশি পিলারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পদ্মাসেতুর পিলারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রেখে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চালানো নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ঘাট, ফেরি সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে যৌথভাবে উন্মুক্ত আলোচনা হয়। গতকাল বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত শরীয়তপুরের জাজিরা ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনীর আয়োজনে আলোচনা সভায় এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পদ্মানদীতে ঘূর্ণায়মান স্রোতের কারণে রো রো ফেরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চলমান বর্ষা মৌসুমে এসব বড় ফেরি চালানো পদ্মাসেতুর জন্য বিপদজনক। ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্য ঘাট থেকে তিনটি মাঝারি আকৃতির ফেরি আনা হবে।
ইতিমধ্যে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের ফেরি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদারভাবে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বড় ফেরি যেহেতু এ নৌপথে চলাচল বন্ধ তাই ট্রাক পার হতে পারবে না। ট্রাক চালকরা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করবে। ওই ঘাটে বড় বড় ফেরি যুক্ত করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর নিরাপত্তার কথা ভেবে ভারী যানবাহনকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে না আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
মাওয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শিমুলিয়াঘাট থেকে ফেরিগুলো পদ্মাসেতুর ৩, ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে যাবে। আর বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিগুলো ৫, ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে আসবে।
এছাড়া সেতুর পিলারে আলোকসজ্জা বৃদ্ধি, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, পিলারের পাশ দিয়ে ফেরি চলাচলের পথও চিহ্নিত করা হবে বলে জানান তিনি।
সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার