২০ বছর পর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক »
২০ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে আজ। এ সম্মেলনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির অবসান হতে যাচ্ছে। ২০০১ সালের জুলাই মাসে অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের লীগের ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২০ বছর পর আজ নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলন প্রসঙ্গে মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু বলেন, ভার্চুয়ালি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন। সম্মেলনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৫০ জন কাউন্সিলর ও ২৫০ জন ডেলিগেটও উপস্থিত থাকবেন।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, সম্মেলন সফল করতে ৫০১ সদস্যবিশিষ্ট প্রস্তুতি কমিটি এবং কয়েকটি উপপরিষদ গঠন করা হয়। সম্মেলনের জন্য দুই দফা তারিখ ঘোষণা করা হলেও করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে তারিখ পেছানো হয়। এরপর সীমিত পরিসরে ভার্চুয়ালি সম্মেনের সিদ্ধান্ত হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০১ সদস্যের কমিটিতে স্থান পেতে শত শত নেতাকর্মী তাদের বায়োডাটা কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এবার ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে এবার। তবে কোন প্রক্রিয়ায় কমিটি হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছে না। কমিটিতে জায়গা করে নিতে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি ধারা প্রবলভাবে সক্রিয়।
দুটি ধারার একটি পক্ষে আছেন সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা। অন্য পক্ষে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলয়ের।
এই দুটি পদের জন্য উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জনের নাম স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে দেয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী পক্ষের লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ নাথ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আজিজুর রহমানের নাম আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিনের নামও প্রচারে রয়েছে।
আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের মধ্যে আছেন সরকারি কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সালাহউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আইন কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নেতা সুজিত দাশ ও আবদুর রশিদ লোকমানের নাম আলোচনায় রয়েছে।