নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পটিয়ায় দুই ভাগিনাকে কুপিয়েছে তাদের মামা। বুধবার বিকেলে পটিয়া পৌরসদরের ওয়াপদা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, পটিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুচক্রদ-ী গ্রামের নুরুল হকের পুত্র ইমরানুল হক (২২) ও তার বড় ভাই মো. মামুন (২৮)। আহত দুইজন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আহতদের মধ্যে মামুনের মাথার নিচে, ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৩২৪টি সেলাই করা হয়েছে। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্ছা লড়ছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটিয়া জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগিনার অপর মামা মো. শফিকুল আলম প্রকাশ বশর বাদী হয়ে মো. জুলফিকার আলম (৫৫), মো. নুরুল আলম (৫২), আবদুল আলীম (৫০), রিদয়ানুল হক প্রকাশ পাবেল (১৯), মো. রেজায়ানুল হক প্রকাশ রুবেল (২২), আতিকুর রহমান (২০), ইফতেখার (২২), ঈদনান আলম (১৯), মো. ফাহিম (২৫), আবদুল মাবুদের (৬৫) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া পৌর সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুচক্রদ-ী গ্রামের মৃত আবদুল সালামের পুত্র জুলফিকারসহ কয়েকজনের সাথে দুই ভাই ইমরানুল ও মো. মামুনের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জুলফিকারের ৫ ভাইয়ের মধ্যে বশরসহ ২ ভাই ভাগিনাদের পক্ষে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রায় সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হুমকির ঘটনা ঘটে। ৩০ জুলাই পটিয়া থানায় ভাইদের বিরুদ্ধে শফিকুল আলম বশর বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন। বুধবার ২৬ আগস্ট বিকেলে দুই ভাগিনাকে একলা পেয়ে ওয়াপদা গেট এলাকায় দা ও কিরিচ দিয়ে মামা ও সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পটিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী মো. ফোরকান জানিয়েছেন, আপন দুই ভাগিনাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে পটিয়া থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে গণ্য করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
Uncategorized