নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া :
পটিয়ায় মো. ইফাত নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের কন্যারা গ্রামের মাহবুব আলমের বাড়ির মোহাম্মদ মুন্নার পুত্র।
শুক্রবার সকালে শিশু ইফাত পুকুরে ডুবে অজ্ঞান হলে তাকে পটিয়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষুব্ধ কিছু যুবক পুনরায় পটিয়া হাসপাতালে ঢুকে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে জরুরি বিভাগের ডাক্তার জিয়াউদ্দিন সাকিবকে মারধর করেন। হামলার খবর পেয়ে পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে ছুটে যান। তবে হামলাকারী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের ও কন্যারা গ্রামের মোহাম্মদ মুন্নার পুত্র মোহাম্মদ ইফাত খেলার ছলে এক পর্যায়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। শিশুটিকে খুঁজতে পরিবারের লোকজন বের হলে স্থানীয় পুকুরে ভাসতে দেখেন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে সকাল ১১টায় শিশুটিকে পটিয়া হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটির ইসিজি করে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ঘোষণার পর পরিবারের লোকজন শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর পুনরায় শিশুটিকে পটিয়া হাসপাতালে নেন। দ্বিতীয়বারও হাসপাতালে ইসিজি করে মৃত ঘোষণা করলে কিছু যুবক ক্ষুব্ধ হয়ে জরুরি বিভাগের ডাক্তার সাকিবের ওপর হামলা চালায়।
হাসপাতালের ই সি জি টেকনেশিয়ান রনি দাশ জানিয়েছেন, দুইবার ইসিজি করার পর মৃত ঘোষণার কারণে শিশুটির পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ও কিছু যুবকসহ ডাক্তারের ওপর হামলা চালিয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার সুচিতা দেব প্রথমবার দেখলেও পরবর্তীতে জরুরি বিভাগের ডাক্তার জিয়াউদ্দিন সাকিব দেখেছেন। দুইবার ই সি জি করার পর মৃত ঘোষণা করা হয়।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, পুকুরে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগ তুলে একটি পক্ষ হাসপাতালের ডাক্তারকে মারধর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।