নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া
মনগড়া বাড়তি বিদ্যুৎ বিল দিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহক হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। করোনার সুযোগে মিটার রিডিং না দেখে গত কয়েক মাস ধরে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা ও পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। গ্রাহকের চাপে পড়ে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কিছু কিছু গ্রাহকের বিল সমন্বয় ও কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সময় পটিয়াও লকডাউনের আওতায় ছিল। বিদ্যুতের গ্রাহকদের ১ হাজার টাকার বিল দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার পর্যনত্ম। এভাবে প্রতিটি গ্রাহককে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে। পটিয়া উপজেলা যুবলীগের প্রাক্তন সহ-সম্পাদক কাজী আবদুল কাদের পিডিবির হাইদগাঁও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একজন গ্রাহক। ১ হাজার ৬শ টাকার বিল দেওয়া হলেও বর্তমানে তাকে ৬ হাজার ৬৭১ টাকা দেওয়া হয়েছে। উদ্ভূত সমস্যা ও মনগড়া বিল নিয়ে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। বিভিন্ন শিল্প কারখানা, গ্যারেজ ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পটিয়াতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিস ও গ্রাহক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পটিয়াতে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎতের প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক রয়েছে। করোনার সময় ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎতের বিরুদ্ধে বাড়তি বিল নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহক হয়রানির কারণে পটিয়াতে একসময় আন্দোলন সংগ্রামও হয়েছে। গ্রাহক সমিতির তৎপরতা না থাকার সুযোগে বিদ্যুৎ অফিস পুনরায় বাড়তি বিল দেওয়াসহ বিভিন্ন হয়রানি করছে। উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আবু ছালেহ মো. শাহরিয়ার নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাদের ঘরে পল্লী বিদ্যুতের দুটি মিটার রয়েছে। তার মধ্যে গত মার্চ মাসে একটি মিটারে ৬০৬ টাকা এবং অন্যটি ৫৫৫ টাকা বিল দেওয়া হয়। এপ্রিল মাসে ১ হাজার ২৩১ টাকা এবং অন্যটি ১ হাজার ৩৫০ টাকা। মে মাসে ৩ হাজার ১৯৮ এবং অন্যটি ১ হাজার ৭১৯ টাকা। প্রতিটি বিলে মনগড়া বিল করা হয়েছে। মিটার ভাড়া ১০ টাকা হলেও গত কয়েক মাস ধরে ৪০ ও ৩০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হবে। পটিয়া পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার ১৭ ইউনিয়নে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহার রয়েছে। বিদ্যুৎতের গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করা জরুরি।
পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর ছিদ্দিকী জানিয়েছেন, বাড়তি বিল দিয়ে গ্রাহক হয়রানির বিষয়টি সঠিক নয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সম্প্রতি লকডাউনের কারণে যদি কোন গ্রাহকের বিলে বাড়তি ইউনিট উঠে থাকে তা সমন্বয় করে এবং কিস্তিতে পরিশোধ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।