নির্বাচনে সহিংসতা
নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া
পৌরসভা নির্বাচনে পটিয়ায় কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাই গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। সহিংসতায় নিহত আবদুল মাবুদ (৫০) কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নানের ছোট ভাই। ভোটের দিন (রোববার) পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সরোয়ার কামাল রাজিব ও আবদুল মান্নানকে ডিবি পুলিশ আটক করে। তাদের মধ্যে নিহত মাবুদের ভাই কাউন্সিলর প্রার্থী মান্নানকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার সকালে ১ নম্বর আসামি রাজিবকে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলায় এজাহারনামীয় ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২জন। অন্য আসামিরা হলেন- মো. ইকবাল (২৩), মো. রায়হান (২২), মো. মনির (২১), মো. জাবেদ (২৪), মো. ওয়াহেদ (২৬), মো. দিদার (৩৬)। এদিকে, সহিংসতায় নিহত আবদুল মাবুদের নামাজে জানাজা গতকাল সোমবার বাদে জোহর দক্ষিণ গোবিন্দারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকায় পুনরায় সহিংসতায় আশঙ্কায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও জলকামান মজুদ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার অনুষ্ঠিত চতুর্থধাপের পটিয়া পৌরসভা নির্বাচনে সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়। দুপুরের পর কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নান ও সরওয়ার কামাল রাজিবের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এতে কাউন্সিলর প্রার্থী মান্নানের ভাই গুলিতে আহত হয়। পরে লোকজন তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সহিংসতা চলাকালে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে চালু করা হয়। কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল মান্নান বাদী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাজিবের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সহিংসতা হওয়া ভোটকেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছেন সরওয়ার কামাল রাজিব (উটপাখি)। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫৩৭।
পটিয়া থানার উপপরিদর্শক হিরু বিকাশ জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামি রাজিবকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।