নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া
পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর পিটস্টপ রেঁস্তোরার সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশআওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদারের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
হাতাহাতির পূর্বে পটিয়ার দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রার্থীদের নিয়ে সমাঝোতার বৈঠক করেন। একক প্রার্থীর বিষয়ে কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ায় বৈঠকে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
বৈঠক শেষে পিটস্টপের সামনে বদিউল আলম ও দিদারুল আলমের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে দিদারুল আলম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলমকে থাপ্পড় মারেন। পরে বদিউল আলম তার এক অনুসারীকে নিয়ে দিদারুল আলমকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেন।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ ধাপে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি,
চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও পটিয়া উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক সৈয়দ নুরুল আবছার।
রবিবার প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ কারণে জেলা আওয়ামী লীগের পটিয়াস্থ নেতৃবৃন্দ একক প্রার্থীর বিষয়ে শনিবার বিকেলে সমাঝোতা বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে না পারলেও দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম দিদারের অনুসারী যুবলীগ, ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী মারমুখী অবস্থান নেয়। অবশ্যই সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি।
পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম. শামসুজ্জামান চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগে পটিয়ার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে কেউ কাউকে ছাড় না দেওয়ার কারণে একক প্রার্থীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলম দলের সিনিয়র নেতাকর্মী নিয়ে গালাগালি করায় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম প্রতিবাদ করে। এসময় তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রার্থীদের সমঝোতা বৈঠক শেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম ও চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলমের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। মূলত দলের সিনিয়র নেতাদের গালিগালাজ করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে জানতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ফোন করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।