নিজস্ব প্রতিনিধি,পটিয়া »
দেশের আলোচিত ও সমালোচিত এস আলম গ্রুপের পটিয়ায় নিমার্ণাধীন এস আলম হাউস থেকে মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে জনতার তোপের মুখে গাড়িভর্তি মালামাল নিয়ে যেতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়নে নিমার্ণাধীন এস আলম হাউসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ঠিকাদারের লোকজনকে তাড়া করেন। পরে এস আলম হাউসের সিকিউরিটির তত্বাবধানে গাড়ি ভর্তি মালামাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার কচুয়ায় ইউনিয়নের অলিরহাট এলাকায় বিশাল জায়গা নিয়ে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ নিজের ও ভাইদের জন্য আলাদা আলাদা বাড়ির সমন্বয়ে এস আলম হাউস নিমার্নাধীন ছিল। এর ঠিকাদার কোরবান আলী নামের একব্যক্তি। দেশের পরিবর্ত পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে এস আলম হাউস থেকে ইট, লোহার রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ঠিকাদারের লোকজনকে তাড়া করেন এবং মালামাল গাড়ি থেকে আনলোড করেন।
স্থানীয় মহিলা মেম্বার ময়ুরী আক্তার বর্ষা জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঠিকাদারের লোকজন এস আলম হাউসের মালামাল লুট করে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। তবে জনতার কারনে তা সম্ভব হয়নি।
পটিয়া পৌরসভা বিএনপি নেতা শাহজাহান চৌধুরী জানিয়েছেন, এস আলম হাউস থেকে মালামাল লুটের খবর পেয়ে তারা ছুটে গেছেন। তবে স্থানীয় লোকজনের কারনে মালামাল লুট করতে পারেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মালামাল লুট হলে পটিয়ার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হত৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার কোরবান আলী জানিয়েছেন, বকেয়া টাকা না দেওয়ার কারনে এস আলম গ্রুপের নিমার্নাধীন হাউসের কাজ তিনি বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় জনতার বাঁধার কারনে মালামাল নিতে পারেননি। কাজ বন্ধ রাখার জন্য এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে তাদেরকে একটি মেইলও দেওয়া হয়। সে মতে তারা মালামাল সরিয়ে নিতে চেয়েছিল।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, এস আলম হাউসের মালামাল লুট হওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি টিম ছুটে যান। ঘটনাস্থলে পণ্যবাহী ট্রাক দেখলেও সেটি কার তা জানা যায়নি। এস আলম হাউস থেকে কোন ধরনের মালামাল লুট কিংবা বের হতে না পারে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।