নিজস্ব সংবাদদাতা »
পটিয়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালেট বাক্স ও সিল ছিনতাই হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে পটিয়ার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের পুর্ব পিঙ্গলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে সিল ও ব্যালেট পেপার ছিনতাই করে নিয়ে যায়৷ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গেলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পুনরায় চালু করা হয়নি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বশর মো. ফখরুদ্দিন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। ছিনতাই হওয়া ব্যালেট পেপারের মধ্যে বেশকিছু উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জোরপূর্বক ব্যালেট ও সিল ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে অভিযোগ করেছি।’
এছাড়া মারামারির কারণে পটিয়ায় আরও একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। সকালে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় লাঠিসোটা নিয়ে হামলাও করা হয়। এ কেন্দ্রে কিছুক্ষণের জন্য ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সকাল ১১টার দিকে উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আশিয়া সাদেকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ, ম্যাজিষ্ট্রেট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুনরায় ভোট চালু করা হয়।
জানা গেছে, এ উপজেলা নির্বাচনে আশিয়া ইউনিয়নে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থিত লোকজন ভোট কেন্দ্রের আশপাশে অবস্থান নেন। জোরপূর্বক ভোট নেওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ বেলাল ও আবু ছালেহ মোহাম্মদ শারুর লোকজনের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে ওই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কিছুক্ষনের জন্য কমে যায়।
হামলায় আহত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা আবু হাসনাত মো: ফয়সাল (৪৫)।আহত ফয়সাল পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।