সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে এই পজিশনে তিনি নিয়মিত নন।
মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তর কাছে পজিশন হারিয়েছেন তিনি। তবে মূল স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন শান্ত। ফলে পছন্দের পজিশনে ফিরছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। গতকালশুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল এমটাই জানিয়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
তামিম বলেন, ‘সাকিব তিনে ব্যাট করবে। তার সামর্থ্যের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে। সেই সঙ্গে এটাও বুঝতে হবে, ২০১৯ বিশ্বকাপে সে যা করেছে তা অবিশ্বাস্য (৮ ম্যাচে ৬০০ রান)। তাকে আবারও সেরকম কিছু করতে দেখতে আমি খুশিই হবো, তবে এটা সবসময় সম্ভব নয় এবং এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। ’সাকিবের মতো আইপিএল খেলে ফেরার পর কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে ফিরছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। আইপিএলে নিজের পুরনো রূপ ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী পেসার। কিন্তু তামিম এত স্বল্প সময়ের পারফরম্যান্স দিয়ে তাকে বিচার করতে চান না, ‘দেখুন, কারো পারফরম্যান্স নিয়ে আমরা যা ভাবি তা মিডিয়ার চেয়ে আলাদা। মাত্র ৩-৪ ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে কিছু বিচার করা ঠিক হবে না। ’
উইকেটের পেছনে মুশফিকের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তারপরও এই ভূমিকায় থেকে গেছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিনের সতীর্থকে নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা করতে রাজি নন তামিম, ‘মুশফিক যদি ফিট থাকে, তাহলে সব ফরম্যাটেই সে উইকেটে পেছনে থাকবে। তার কিপিং নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমাদের এটা স্বীকার করতেই হবে যে, প্রায় ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে সে উইকেটের পেছনে দারুণ ভূমিকা রেখে চলেছে। মাঝে মাঝে কিছু সুযোগ হাতছাড়া হতেই পারে। ’
বাংলাদেশ দল এখনও সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তুলনামূলক তরুণদের কাছ থেকে এখনও সেই মাত্রায় নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স দেখা যায় না। তামিম মনে করেন, তরুণদের এখন সিনিয়রদের ছায়া থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়েছে, বিশেষ করে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের, যারা জাতীয় দলের অনেকদিন ধরে খেলছেন। খবর বাংলানিউজের। তামিম বলেন, ‘আমার মতে, এখনই সময় তাদের (লিটন ও সৌম্য) সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার। কিন্তু একইসঙ্গে, তাদের নিয়ে আমি দুশ্চিন্তা করছি না। কারণ তারা জানে তাদের সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে। যখন কেউ বুঝতে পারে কোথায় তার দুর্বলতা, তখন তাদের চাপ দেওয়ার কিছু নেই।