নিজস্ব প্রতিবেদক »
দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনের চট্টগ্রাম-৫ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে সকালে থেকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। তবে ভোটার উপস্থিতি কম। এরমধ্যে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামের একজন এজেন্ট নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ।
৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম -৫ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভোটারের চাইতে প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতি বেশি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আগত ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম ৫ আসনের কেন্দ্র ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার আনিসের এজেন্ট ইফতি মোবাইলসহ কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করেন। প্রথমবার কর্তব্যরত পুলিশ তার মোবাইলটি নিয়ে রাখলেও পরবর্তীতে তিনি নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটি সংগ্রহ করেন।
এরপর দ্বিতীয় বারের মতো তিনি আবারো মোবাইল নিয়ে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। কর্তব্যরত পুলিশ তাকে আটকালে তিনি আরেকজনকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য পুলিশের সাথে তর্ক করতে থাকেন। এসময় তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। এক পর্যায়ে তিনি কেন্দ্র থেকে বের হয়ে গেলেও পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের পিছনের রাস্তা দিয়ে আবারো ফতেপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্র থেকে তাকে বের হতে দেখা যায়। এবারো প্রিজাইডিং অফিসার তাকে বারবার কেন্দ্র থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিলেও তিনি কেন্দ্র থেকে সরেননি।
লাঙলের এজেন্ট ইফতি বলেন, ‘ আমি আমার ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে ঢুকেছি। এখান থেকে আমি যাবোনা। এখানে যারা কাজ করছেন তাদের চা নাস্তা খাওয়ানো হবে। আমি এখানে থাকবো।’
এসময় তিনি প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এ ব্যাপারে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম-৫ আসেনর ফতেপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন,’ এগুলো অতীতে করার অভিজ্ঞতা আছে বলেই, করছেন। তাকে বারবার সরে যেতে বললেও তিনি সরছেন না। এরপর কোনো নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ম্যাজিস্ট্রেট আছে, মোবাইল কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবেন তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’