সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
একবছর পিছিয়ে গিয়েও দুশ্চিন্তা কমছে না টোকিও অলিম্পিকের আয়োজন ঘিরে। নোভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক প্রভাবে পরের বছরের অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল। এমতাবস্থায় ২০২১ অ্যাথলিট এবং অনুরাগীদের জন্য নিরাপদ অলিম্পিক আয়োজনের আশ্বাস শোনালেন টোকিওর গভর্নর যুরিকো কৈকে।
আগামী মাসেই টোকিও শহরের গভর্নর পদে নির্বাচন। জয়ী হওয়ার বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত ধরে নিয়েই কৈকে জানিয়েছেন, সফলভাবে অলিম্পিক আয়োজনের জন্য টোকিও বদ্ধপরিকর। আগামী বছর সফলভাবে অলিম্পিক আয়োজন করা সম্ভব হলে সেটা হবে মানবজাতির জয়। এএফপি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৈকে বলেছেন, ‘নিরাপদ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য ১২০ শতাংশ উজাড় করে দেব আমরা।’ তবে পরিকল্পনামাফিক করোনা পরবর্তী সময় শহরে ফের কবে সমস্ত স্পোর্টিং ইভেন্ট শুরু হবে তা নিয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তিনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময় প্রথমবারের জন্য ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ অলিম্পিক পিছিয়ে গিয়েছে এক বছর। অলিম্পিকের সঙ্গে করোনার জেরে ব্যাপক রদবদল ঘটেছে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য ক্রীড়া ক্যালেন্ডারেও। চলতি বছর ২৬ জুলাই প্রাথমিকভাবে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে গিয়েছে একবছর। নয়া সূচি অনুযায়ী আগামী বছর ২৩ জুলাই শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক। যদিও সেটাকে ২০২০ অলিম্পিক হিসেবেই মান্যতা দেওয়া হবে।
কিন্তু একবছর পিছিয়ে গেলেও অলিম্পিক আগামী বছর যথাসময়ে যে আয়োজন হবে তা নিয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করতে পারছেন না কেউই। মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা সন্দেহের সুর চড়িয়ে বলছেন আরও লম্বা সময়ের জন্য পিছিয়ে দিলে ভালো হত। তাতে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে আর সুবিধা হত। স্বাভাবিকভাবেই অলিম্পিক আয়োজন আরও সহজ হয়ে যেত। কিন্তু এখন আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা নেই। আগামী বছর নিতান্তই অলিম্পিক আয়োজন করা সম্ভব না হলে ২০২০ টোকিও অলিম্পিক যে বাতিল হিসেবে গণ্য হবে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।
তাই টোকিও শহরের গভর্নর ৬৭ বছরের কৈকে বলছেন, ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এখনও জারি রয়েছে আমাদের। গেমস আয়োজন নিয়ে এখনও পুরোদমে আশা রয়েছে।’ একইসঙ্গে তার সংযোজন, ‘টোকিওকে আমরা আগামী বছর অলিম্পিকের কথা ভেবে সম্পূর্ণ নিরাপদ করে তুলব একইসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্যেও নিরাপদ হয়ে উঠবে টোকিও এবং জাপান।’
খবর : কলকাতাটোয়েন্টিফোর’র।
খেলা