চসিক প্রশাসকের সাথে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাক্ষাত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনরে সাথে ব্রিটিশ হাই-কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকশন সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
গতকাল সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনে প্রশাসকের অফিস কক্ষে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সাথে সাক্ষাত হয়। সাক্ষাতকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়।
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম ও এলআইইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রশাসক বলেন, হাজার বছর ধরে চট্টগ্রাম প্রাকৃতিক বন্দর সমুদ্র পথে প্রাচ্য, প্রতীচ্য ও পাশ্চাত্যের প্রবেশ দ্বার। তাই চট্টগ্রাম এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে আসা বণিক ও পর্যটকরা এখানে এসে মুগ্ধ হয়েছেন, কেউ কেউ থেকেও গেছেন। তারা আমাদের সমাজ-সভ্যতা-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে উর্বর করে গেছেন।
চসিক প্রশাসক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, বে-টার্মিনাল ও মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হয়ে গেলে চট্টগ্রাম আন্তঃদেশীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামরে ভবিষ্যত সিঙ্গাপুরের চেয়েও উজ্জ্বল। কক্সবাজার থেকে মিরসরাই পর্যন্ত সরকারের পরিকল্পিত উপকূলীয় মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ হলে এ বিশাল বেল্টে শিল্প ও পর্যটনের বিশাল অর্থনৈতিক জোন গড়ে উঠবে। এ বিশাল সম্ভাবনার সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রশাসক ব্রিটিশ হাই-কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেলের কাজ শেষ হলে নদীর দক্ষিণ তীরে একাধিক শিল্পজোন গড়ে উঠবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের অর্থনেতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসা শুরু হয়েছে। চীন, কোরিয়া, জাপানসহ বিদেশি বিনিয়োগকারী সাড়া দিয়েছে। সবমিলিয়ে ১২টি দেশ থেকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। তাই চট্টগ্রাম শুধু আঞ্চলিক নয়, আন্তঃদেশীয় থেকে আন্তঃমহাদেশীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল কেন্দ্র হতে খুব বেশি দেরি নেই বলে মন্তব্য করেন প্রশাসক।
ব্রিটিশ হাই-কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকশন চসিক প্রশাসকের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে তারা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে তাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কেও তাদের জানা আছে। তাই এখানে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পান সেভাবে তারা পেলে এবং পরিবেশ অনুকূল থাকলে আন্তঃদেশীয় ও আন্তঃমহাদেশীয় আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিজ্ঞপ্তি