সুপ্রভাত ডেস্ক »
ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ টাইটান নামের একটি সাবমেরিন। এতে থাকা পাঁচ ক্রুর একজন হলেন এই সাবমেরিন পরিচালনাকারী কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। আরও রয়েছেন একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্র, এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি বাবা ও তার কিশোর ছেলে এবং এক ফরাসি সমুদ্র বিশেষজ্ঞ।
গত রোববার উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়া সাবমেরিন টাইটান নিখোঁজ হয়ে যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস সাবমেরিনটির ক্রুদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছে। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
স্টক্টন রাশ
ওশেনগেট এক্সপেডিশন্স নামের কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টক্টন রাশ। নিখোঁজ সাবমেরিনটি এই কোম্পানি পরিচালনা করছে। সাবমেরিনটির পাইলট তিনিই।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষরকারী বেঞ্জামিন রাশ ও রিচার্ড স্টক্টনের বংশধর তিনি। প্রিন্সটন থেকে মহাকাশ প্রকৌশলে ১৯৮৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
২০০৯ সালে সিয়াটলের কাছে এভারেট নামক স্থানে বেসরকারি কোম্পানি ওশেনগেট প্রতিষ্ঠা করেন।
গত বছর নভেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে রাশ বলেছেন, তিনি মহাকাশচারী বা যুদ্ধবিমানের পাইলট হতে চেয়েছিলেন। পরে তিনি ক্যাপ্টেন কার্কের মতো অভিযাত্রিক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শুধু যাত্রী হিসেবে পেছনে বসে থাকতে চাননি।
হামিশ হার্ডিং
একজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রিক। হার্ডিংসের কোম্পানি অ্যাকশন অ্যাভিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মার্ক বাটলারের মতে, নিখোঁজ সাবমেরিনে তিনি রয়েছে।
৫৮ বছর বয়সী হার্ডিংয়ের দখলে একাধিক গিনেজ বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এক ডুবে সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর অংশে দীর্ঘ সময় অবস্থান করার রেকর্ড। শনিবার তিনি ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছিলেন, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ওশেনগেট অভিযানে যোগদান করতে পেরে তিনি গর্বিত।
অ্যাকশন অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান হার্ডিং। দুবাইভিত্তিক এই কোম্পানিটি ক্রয় ও মহাকাশ অভিযান পরিচালনা করে। এর আগে তিনি জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন রকেট কোম্পানি মহাকাশ অভিযানে ছিলেন। উড়োজাহাজে দ্রুততম সময়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণের রেকর্ডও তার দখলে।
পল-হেনরি নারজিওলেট
একজন ফরাসি সমুদ্র বিশেষজ্ঞ। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে ৩৫বারের বেশি ডুব দিয়েছেন। তার এজেন্ট ম্যাথিউ জোহান নিখোঁজ টাইটানে নারজিওলেটের থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরএমএস টাইটানিক কোম্পানির সমুদ্রের তলদেশ গবেষণা প্রধান। এটি একটি মার্কিন কোম্পানি। টাইটানিক থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন বস্তুর প্রদর্শনী আয়োজন করেছে। ১৯৮৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোম্পানিটি আটটি গবেষণা ও উদ্ধার প্রদর্শনী করেছে।
শাহজাদা দাউদ ও সুলেমান দাউদ
ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) এবং তার ছেলে সুলেমান (১৯) নিখোঁজ সাবমেরিনে রয়েছেন। শাহাজাদা দাউদ এনগ্রো করপোরেশনের ভাইস-চেয়ারম্যান। পাকিস্তানের অন্যতম ধনী পরিবারের অংশ দাউদ। পোশাক ও সার উৎপাদন করেছেন তিনি।
কোম্পানিটির এক বিবৃতিতে দাউদ ও তার ছেলের জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি সার্চ ফর এক্সট্রাটেরেসট্রিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডেরও সদস্য। তিনি ব্রিটেনের একজন বাসিন্দা এবং তার দুই সন্তান রয়েছে।