নিজস্ব প্রতিবেদক »
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই রেজিস্ট্রার খাতায় লিখছে দামি ওষুধের নাম। আর তা স্টোর থেকে সরিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে অন্য জায়গায়। এমনই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছদ্মবেশে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে তারা অভিযোগের সত্যতা পেয়ে হাসপাতাল পরিচালককে জানালে তিনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, ‘আমরা হট লাইনে অভিযোগ পাওয়ার পর হাসপাতালে ছদ্মবেশে অভিযান চালাই। এতে ওষুধ নিয়ে নয়-ছয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব ওষুধের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে নার্সরা। আমাদের অভিযানের সময় হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও সঙ্গে ছিলেন। তিনি দেখেছেন ওষুধ নিয়ে হাসপাতালে কেমন অনিয়ম হচ্ছে। আমরা বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করেছি। তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, দুদকের অভিযানে যে অনিয়ম পাওয়া গেছে, তা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। আমরা কোনো অনিয়মকে প্রশ্রয় দিই না। যারা অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।’
জানা গেছে, দুদকের হট লাইন ১০৬ নম্বরে কল পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযানে পরিচালনা করা হয়। এ সময় তারা হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকেও তাদের সঙ্গে রাখেন। হাসপাতালের ইমারজেন্সি কেয়ার ইউনিটে অভিযানে রোগীকে ওষুধ না দিলেও তা লেখা হচ্ছে নার্সের কাছে থাকা রেজিস্ট্রার খাতায়। এমনকি শয্যায় রোগী ভর্তি না থাকা সত্ত্বেও রোগীর নাম দেখিয়ে ওষুধ সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। একই রকম অনিয়ম ধরা পড়ে হাসপাতালে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেও। সেখানে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম উল্লেখ না থাকার পরও তা নার্সরা লিখেছেন রেজিস্ট্রার খাতায়। এ নিয়ে ওয়ার্ডটির নার্স ইনচার্জ মিনতি বড়ুয়া ও সিনিয়র স্টাফ নার্স ফাতেমা খাতুনকে জিজ্ঞাসা করে কোনো সদুত্তর পায়নি দুদক।
নার্সের যোগসাজশে গায়েব রোগীর ওষুধ
চমেক হাসপাতালে দুদক