নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারে গুলি করে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর চাঞ্চল্যকর গোলাম রব্বানী টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামিকে ঘটনার পাঁচদিন পর মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে হোটেল অবস্থানকারী সঙ্গীয় নারীও রয়েছেন। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে গ্রেপ্তার তিনজনের বাড়ি খুলনায় বলে তথ্য দিলেও তাদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, আটক ৩ জনের মধ্যে একজন নারী রয়েছে। তাদের তিনজনকে এক সাথে মৌলভীবাজার থেকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করা হয়। তাদের কক্সবাজার আনা হচ্ছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিস্তারিত সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন একটি হোটেলের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু। পরদিন শুক্রবার নিহতের ভগ্নিপতি ইউনুছ আলী শেখ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার একটি হোটেলে উঠেন আটক ইফতেখার ও গোলাম রব্বানী টিপু। তাঁদের সঙ্গে রুমি (২৭) নামের এক নারীও ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত-সংলগ্ন হোটেলের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু। নিহত টিপু ও আটক ইফতেখারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁরা গত ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
