নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
মিয়ানমার জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে বেশ কিছুদিন ধরে উখিয়া-টেকনাফের সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ওপারে এ সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে সীমান্তে আতঙ্ক দেখা দেয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন গোলা-গুলির শব্দ শোনা যায়নি। এমনটা জানান শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা।
শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণ পাড়ার ওয়ারেজ আলী বলেন, নাফনদীর সীমান্ত ওপারে চলমান সংঘর্ষের ফলে এপারে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমনকি উখিয়া- টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে মাসব্যাপী মর্টারশেল ও গুলির শব্দে মানুষ অনিরাপদের মধ্যে বসবাস করছিল। পরবর্তীতে রাখাইনের মংডুর টাউনশিপ রক্ষায় জান্তা বাহিনী ও আরকান আর্মির মধ্যে চলে ব্যাপক সংঘর্ষ।
এ কারণে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা নতুন করে ভয় ও আতঙ্কে পড়ে গিয়েছিল। তবে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে রাত সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত গোলার কোন শব্দ এপারে শুনতে পায়নি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, গোলাগুলির শব্দ শোনা না গেলেও আমরা ভয়ে সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছি না। মাছ ধরতে আমাদেরকে একদম মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি সাগরে যেতে হয়। সে কারণে মাছ ধরা বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি বুঝে সাগরে মাছ ধরতে যাবো।
তবে নিরাপত্তার কারণে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে পর্যটকদের ভ্রমণ করাসহ পাশাপাশি স্থানীয়দের চলাচল বন্ধ রেখেছে বিজিবি।
এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে নাফ নদী এলাকায় বিজিবির নিয়মিত টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেন কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, স্থানীয়দের কাজ থেকে জেনেছি ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোনো বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি, কোস্টগার্ড টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
নাফনদীর সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক
কঠোর অবস্থানে বিজিবি