জিয়াবুল হক, টেকনাফ »
পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জের ধরে টেকনাফ উপজেলার নাফনদীর জলসীমা সংলগ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে কোনো ধরনের হুমকির আশঙ্কা নেই। তবুও দেশের সীমান্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই এলাকায় দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্যদের টহল জোরদার করাসহ সর্ব্বোচ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা টেকনাফের নাফনদী জলসীমা অঞ্চল পরিদর্শন করতে এসে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় সবোর্চ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে প্রায়শই মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি এবং বেসামারিক সদস্যগণ বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যে অব্যাহত সংঘাতের ফলে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে মানব পাচার, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশসহ বিভিন্ন ধরণের প্রচেষ্টা দৃষ্টিগোচর হয়। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নাফ নদী এবং তৎসংলগ্ন এলাকা ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় অত্যাধুনিক হাইস্পীড বোট ও টহল জাহাজের মাধ্যমে দৃ্ঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে।