নিজস্ব প্রতিবেদক <<
উৎসব-আনন্দ ও বর্ণিল আয়োজনে নগরে নানা ধর্মীয় ও মাঙ্গলিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার উদযাপিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জ্ঞান, বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজা।
গতকাল ভোর থেকেই শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
পঞ্জিকা মতে, গতকাল পঞ্চমী তিথি সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৯ মিনিটের পর আরম্ভ হয় এবং মঙ্গলবার শেষরাত ৫টা ২৮ মিনিট পর শেষ হয়। তবে গতকাল দুপুরের মধ্যেই শেষ হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় দেবীর বোধন আমন্ত্রণ ও অধিবাস সম্পন্ন করা হয়।
দেবী সরস্বতীর কৃপা লাভের আশায় নগরের পূজামণ্ডপগুলোতে সকালে থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী ভক্তরা। তবে এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যাই ছিল বেশি। পূজা শেষে ভক্তদের দেওয়া হয় পুষ্পাঞ্জলি। এরপরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে পিঠা খাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেন পরিবারের সদস্যরা। দুপুরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে করা হয় মহাপ্রসাদ আস্বাদনের ব্যবস্থা। এছাড়া সন্ধ্যায় বিতরণ করা হয় প্যাকেট প্রসাদ।
গতকাল দিনটি ছিল অত্যন্ত শুভ। ফলে এই দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শিশুদের হাতেকড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণ করেন। এছাড়া লোকচার অনুসারে ছাত্র-ছাত্রীরা সরস্বতী পূজার আগে কুল খেতে না পারলেও পূজা শেষে সেই বাধ্যবাধকতা আর থাকে না।
গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেবী সরস্বতীর দর্শনে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভিড় জমাতে থাকেন সনাতন ধর্মীবলম্বীরা। তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী, শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঘুরে বেড়ান নগরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে।
গতকাল সরেজমিন নগরের জেএমসেন হল, টেরীবাজার, হাজারী লেইন, চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজ, কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাতালগঞ্জ, পশ্চিম বাকলিয়া ফুলতলা এলাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
পূজা উপলক্ষে নগরীর অলি-গলি, পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল সাজ সাজ রব। পূজামণ্ডপগুলো সাজানো ছিল বর্ণিল সাজে। নির্মাণ করা হয়েছিল তোরণ ও গেট। সন্ধ্যায় প্রতিটি মণ্ডপেই ছিল চোখ ধাঁধানো লাইটিং। দিনব্যাপী ছিল বিভিন্ন কর্মসূচি। সন্ধ্যায় ঢাক-ঢোলসহ করা হয় আরতি। যা দেখতে ভিড় জমান নানা বয়স ও শ্রেণি পেশার মানুষ।