নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আজ সোমবার দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মধক নিধন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন বিভাগে ১০০ দিনের অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে কাজ শুরু করতে চান রেজাউল করিম। ইতিমধ্যে করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা তৈরির কথা বলেন। এছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারেও ১০০ দিনের অ্যাকশন প্ল্যানের কথা উল্লেখ ছিল।
আজ সোমবার সকালে সুধী সমাবেশের পর তিনি টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে গিয়ে অফিস শুরু করবেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন- গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনার কথা। একইসাথে সিটি করপোরেশনের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের হারানোর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন। করপোরেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান বৃদ্ধিতেও কাজ গুরুত্বারোপ করবেন।
নগরীর উন্নয়নে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ও একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। এজন্য তিনি সুপ্রভাতের সাথে বিগত সময়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে মেয়রের কর্তৃত্ব থাকতে হবে। কর্তৃত্ব না থাকলে সমন্বয় রক্ষা করা কঠিন হবে। একইসাথে সভায় সংস্থাগুলোর প্রধানদের আসতে হবে। সিটি করপোরেশন একদিকে রাস্তা মেরামত করবে অপরদিকে ওয়াসা কাটবে তা হতে পারে না। এজন্য নগরবাসী সিটি করপোরেশকে দোষারোপ করছে।
তবে নগরীর উন্নয়নে তিনি প্রকৌশলী, পরিকল্পনাবিদ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার বিজ্ঞ মানুষদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে চান বলে বিভিন্ন সময়ে বলে আসছেন। এখন দেখার বিষয় দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি কিভাবে কাজ করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনকে পরাজিত করে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান ।