সকল ভেদাভেদ ভুলে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহবুবের রহমান শামীম।
তিনি ৩ অক্টোবর বিকেলে রাঙামাটি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাঙামাটি জেলা বিএনপি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও সনাতনী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সব সময় সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের রাজনীতি করেছে। তারা সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরু বিভাজন করে দেশকে সব সময় ব্যস্ত রাখতো। ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পতিত স্বৈরাচার আবার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা সনাতনী সম্প্রদায়কে কার্ড হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। তাই সামনের দুর্গাপূজা আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিটি পূজাম-প কেন্দ্রীক স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করেছে।
তিনি বলেন, রাঙামাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর। এখানে পাহাড়ি, অপাহাড়ি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিছুদিন ধরে এই রাঙামাটি সহ পার্বত্য এলাকাকে অশান্ত করতে পতিত স্বৈরাচার উঠেপড়ে লেগেছে। সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনের সঞ্চালনায় সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সাবেক সাংসদ মনি স্বপন দেওয়ান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব ধর তমাল, কেন্দ্রীয় সদস্য সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ, রাঙামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অমলেন্দু হাওলাধার, রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি দুলাল সরকার, রামঠাকুর আশ্রমের অর্থ সম্পাদক বরুণ রায়, রাঙামাটি পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের খোকন দে, গীতা আশ্রম পূজাম-পের সভাপতি রাজু প্রসাদ দে, তাপস দাশ, সনাতন যুব পরিষদের লিংকন মজুমদার, জাগো হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবু প্রসাদ দেবু, আইচবাড়ি পূজা পরিষদের শিব শংকর আইচ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি