নিজস্ব প্রতিবেদক »
কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের পাঁচতারকা মানের ৭ তলা প্রমোদতরী ‘এমভি বে ওয়ান’ চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রা শুরু করবে। ৮ ডিসেম্বর থেকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো এ প্রমোদতরী ভ্রমণে পর্যটকদের খরচও কমানো হয়েছে বলে জানায় জাহাজটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ওয়াটার বাস টার্মিনালে অবস্থানরত এমভি বে ওয়ানে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্ণফুলী ক্রুজলাইনের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নগরীর পতেঙ্গা থেকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এ প্রমোদতরী। শুক্রবার ভোরে এটি সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে এবং একদিন একরাত অবস্থান করে শনিবার সকাল ১০টায় সেন্টমার্টিন থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ফিরবে। জাহাজটির ইকোনোমি ক্লাস চেয়ারের ভাড়া রাউন্ড ট্রিপ ৫ হাজারের স্থলে সাড়ে ৪ হাজার এবং ওয়ানওয়ে ২ হাজার ৮০০ এর স্থলে ২ হাজার ৫০০ টাকা। বিজনেস ক্লাস চেয়ার রাউন্ড ট্রিপ ৭ হাজারের স্থলে ৬ হাজার এবং ওয়ানওয়ে ৩ হাজার ৭০০ এর স্থলে ৩ হাজার ৩০০ টাকা। ওপেন ডেক রাউন্ড ট্রিপ ৭ হাজার ৫০০ এর স্থলে ৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং ওয়ানওয়ে ৪ হাজার ৫০০ এর স্থলে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। বাংকার বেড রাউন্ড ট্রিপ ৮ হাজারের স্থলে ৬ হাজার ৫০০ এবং ওয়ানওয়ে ৫ হাজারের স্থলে ৩ হাজার ৭০০ টাকা। ফ্যামিলি বাংকার বেড রাউন্ডট্রিপ ৩৫ হাজারের স্থলে ৩০ হাজার এবং ওয়ান ওয়ে ১৯ হাজারের স্থলে ১৬ হাজার টাকা।
এছাড়াও ভিভিআইপি প্রেসিডেন্সিয়াল কেবিন রাউন্ডট্রিপ ৩৮ হাজারের স্থলে ৩২ হাজার এবং ওয়ানওয়ে ২০ হাজারের স্থলে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। রয়েল কেবিন ৪০ হাজারের স্থলে ৩৪ হাজার এবং ওয়ান ওয়ে ২৩ হাজারের স্থলে ১৯ হাজার টাকা। ভিভিআইপি প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাস কেবিন রাউন্ডট্রিপ ৪৫ হাজারের স্থলে ৪০ হাজার এবং ওয়ানওয়ে ২৫ হাজারের স্থলে ২২ হাজার টাকা। ভিভিআইপি কেবিন রাউন্ড ট্রিপ ৪৫ হাজারের স্থলে ৪০ হাজার এবং ওয়ানওয়ে ২৫ হাজারের স্থলে ২২ হাজার টাকা। বেলকনিসহ অ্যাটাস্ট বাথ সুবিধা সম্বলিত দ্য এমপেররস্ কেবিন রাউন্ডট্রিপ ৫০ হাজারের স্থলে ৪৫ হাজার টাকা এবং ওয়ানওয়ে ২৮ হাজারের স্থলে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল জানান, চট্টগ্রাম না ফিরে যারা কক্সবাজার যাবেন, তারা যেকোনো দিন এই কোম্পানির এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও নতুন এমভি বার আউলিয়ায় করে যেতে পারবেন। ‘সেন্টমার্টিন ক্রুজে চেপে সাগরের বুকে থেকে প্রবালদ্বীপ, ছেঁড়াদ্বীপ ও নয়নাভিরাম সূর্যাস্ত দেখারও ব্যবস্থা থাকবে। ৪০০ ফুট লম্বা বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীতে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশন সুবিধা রয়েছে। ১ হাজার ৮০০ আসনের জাহাজটিতে সাধারণ চেয়ার থেকে বিলাসবহুল কেবিন, সিভিউ ও রুফটপ বাফেট রেস্তোরাঁসহ একাধিক ট্রেডিশনাল রেস্তোরাঁ, আইসক্রিম ও কফিবার, ব্র্যান্ড শপ আছে। জাহাজ পরিচালনা ও পর্যটকদের সেবা দেওয়ার জন্য এতে ১০০ এর বেশি নাবিক রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিতে হয় বলে আন্তর্জাতিক মানের নৌ-নিরাপত্তা সম্বলিত এই জাহাজে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য রয়েছে লাইফ জ্যাকেট ও জীবনতরীসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি। বিশেষ করে সাগরে ঢেউ হলে জাহাজের তলদেশে থাকা দু’পাশে দুটি পাখা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে।